× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিশু যৌন নির্যাতনকারীকে সহায়তার বিতর্কে মার্কিন শ্রমমন্ত্রীর পদত্যাগ

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে পদত্যাগকারী মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের তালিকায় যোগ হলো আরো এক নাম। এবার পদত্যাগ করেছেন ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া শ্রমমন্ত্রী অ্যালেক্স অ্যাকোস্টা। ২০০৮ সালে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যৌন নির্যাতনের অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন ব্যবসায়ী জেফরি এপস্টেইনের শাস্তি কমিয়ে দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তৎকালীন সময়ে মিয়ামির অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সমালোচনার মুখে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের সামনে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তার পাশে ছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বহুদিন ধরেই অ্যাকোস্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। অ্যাকোস্টা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে।
এদিকে, তার পদত্যাগ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি জানান, অ্যাকোস্টা নিজ থেকেই পদত্যাগ করছেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প তাকে কোনো নির্দেশ দেননি। তিনি ঘোষণা দেন যে, উপ-শ্রমমন্ত্রী প্যাট্রিক পিজ্জেলা নতুন শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২০০৮ সালে কী করেছিলেন অ্যাকোস্টা?
তৎকালীন সময়ে মিয়ামি শহরের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন অ্যাকোস্টা। সে সময় এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় এপস্টেইনকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিচার থেকে অব্যাহতির সুযোগ করে দেন অ্যাকোস্টা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিচারের বদলে, এপস্টেইনকে ১৩ মাসের কারাভোগের চুক্তি করে দেন তিনি। ওই সময়ের বেশিরভাগটাই এপস্টেইনের মুক্তির জন্য কাজ করে তার তৎকালীন কার্যালয়। সোমবার অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের যৌন কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পাচার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এপস্টেইনকে। এরপর থেকে ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে অ্যাকোস্টার বিরুদ্ধে সমালোচনা।
অ্যাকোস্টা ২০০৮ সালের ওই বিতর্ক নিয়ে বুধবার বলেন, আমরা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। এ জন্যই আমরা মামলায় হস্তক্ষেপ করেছিলাম। আর আমার কার্যালয়ের আইনজীবীরা সেটাই করেছে। তারা চেষ্টা করেছে যে, তিনি যেন জেলে যান এবং পুরো বিশ্ব যাতে জানতে পারে, তিনি একজন যৌন নির্যাতনকারী ছিলেন ও আছেন। উল্লেখ্য, ৬৬ বছর বয়সী এপস্টেইন একজন মার্কিন ধনকুবের। ট্রাম্প, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রিওসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার। শুক্রবার তার সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, আমি জেফরি এপস্টেইনের কোনো ভক্ত নই। ১২ থেকে ১৫ বছর আগেই আমাদের সম্পর্কের অবসান ঘটে। আমি তাকে একটি ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর