দেশব্যাপী চলমান গুম, খুন, হত্যা ও ধর্ষণের মহামারী থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় সংলাপ চায় বিএনপি। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘গুম-হত্যা-ধর্ষণের মহামারীর কবলে বাংলাদেশ, আতঙ্কিত নাগরিক জীবন ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রেসিডেন্ট যদিও আওয়ামী লীগের কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি দল নিরপেক্ষ। তিনি জাতীয় একটি সংলাপ আহ্বান করে যত দ্রুত সম্ভব এই গুম খুন হত্যা ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। তিনি বলেন, গুম-খুন-হত্যা ও ধর্ষণের মহামারী থেকে একেবারে রক্ষা পেতে হলে সবার আগে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অবশ্যই এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। কারণ এই সরকার অস্বাভাবিক সরকার। তারা অস্বাভাবিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। অস্বাভাবিক কিছু বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। অতএব এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। ‘মানুষকে অবহেলা করে দেশ চালাই না’ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখতে চাই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বান ২৯শে ডিসেম্বর রাতে হয়ে গেছে যা ৩০শে ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারবেন? অথচ আমাদের সংবিধান আমাদেরকে ভোট দেয়ার অধিকার দিয়েছে। প্রশাসন, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে জনগণের অধিকার যে আপনি লুট করে নিয়ে গেলেন। এখানে কি আপনি মানুষকে অবহেলা করেননি? তাদেরকে কষ্ট দেননি? তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে গত কয়েকদিন আগে একটি মন্তব্য এসেছে। কিছু কিছু ওসি-ডিসিরা নিজেদেরকে রাজা-বাদশা মনে করে। এরা কারা? আমি বলি- এরা সরকারের মদদপুষ্ট সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা। তারা নিজেরা নিজেদেরকে রাজা বাদশা মনে করছে। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওয়ামা দল নেতা শাহ মো. নেছারুল হক, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।