× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দোয়ারাবাজারে ত্রাণের জন্য হাহাকার

দেশ বিদেশ

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার

দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অব্যাহত ভারি বর্ষণে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বানভাসী মানুষের মধ্যে এখন আহাজারি শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো তলিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরেই উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ বছরের দ্বিতীয় দফা বন্যায় যেন কাবু হয়ে হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো অধিকাংশই পানির নিচে এবং বসতভিটায় বানের পানি ঢুকে পড়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে হাওরপাড়ের মানুষেরা পানিবন্দি হয়ে গৃহপালিত পশু, হাঁস মোরগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
সর্বত্র এখন গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার বয়স্ক লোকসহ শিশু ও নারীরা পানিবাহিত নানা রোগবালাইয়ে ভুগছেন। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে অনেকেই বন্যার পানি পানসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বন্যায় কাবু হয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার শ্রমজীবী মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। কাজ করতে না পারায় বন্যা কবলিত হয়ে খেয়ে না খেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য বন্যার্তদের মধ্যে এখন হাহাকার শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে, প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুইদিনে বন্যা কবলিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য গতকাল পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ আসেনি। এর আগে প্রথম দফা বন্যায় সরকারিভাবে ২৯ টন চাল বরাদ্দ হয়েছিল। বন্যার পানি কমতে শুরু করলে অব্যাহত ভারি বর্ষণে ফের দ্বিতীয় দফায় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর