গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নদী সংলগ্ন এলাকা ও চার জেলার চরাঞ্চলসহ অন্তত: ৯০ টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে। পানির কারণে ওইসব এলাকায় গবাদি পশু ও মানুষ একসঙ্গে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সহযোগিতার কথা শোনা গেলেও নদীর চরাঞ্চল ও দুর্গত এলাকার লোকজন ত্রাণ পায়নি বলে অভিযোগ করছেন। তারা জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা নতুন আশ্রয় ও উঁচুস্থানে যাওয়ার সুযোগ পেতেন।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে আজ দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির তোড়ে বাগুড়িয়া নামক স্থানে বাঁধের ১০০ ফুট অংশ ধসে গেছে। ফলে এলাকার প্রায় ৭ শতাধিক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুক সমান পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলাদি। লোকজন কোনমতে তাদের গবাদি পশু ও কাঁথা বালিশ নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয়ের জন্য মালামাল স্তূপ করে রেখেছে। কোথায় যাবে তার কোন ঠিকানা নেই। এলাকার লোকজন ডুব দিয়ে তাদের ডুবন্ত ঘর থেকে যতটুকু পারছেন মালামালা সরিয়ে নিয়ে আসছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুয়ায়ী, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ৭৮ এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আরও নতুন নতুন এলাকা ডুবে যাচ্ছে। রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী, লালমনিহাটের আদিতমারীসহ উত্তরের বেশ কিছু উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর অনেক এলাকায় এখন মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় কিছু ত্রাণ সহযোগিতা দিয়েছেন রায়দাসবাড়ি ও কামারজানি এলাকায়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ৩ শতাধিক মানুষকে ত্রাণ সহয়তা দিয়েছেন।