× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নেপাল-ভারতে বন্যা, ভূমিধসে অন্তত ৩৮ জন নিহত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৪, ২০১৯, রবিবার, ২:৪৮ পূর্বাহ্ন

নেপাল ও ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে নেপালে ২৭ জন ও ভারতে ১১ জন মারা গেছে। বৃহ¯পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে ভেসে গেছে নেপালের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র বিশ্বরাজ পোখারেলকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, নিহতের পাশাপাশি নেপালে আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এদিকে, রাজধানী কাঠমান্ডুতে এক দেয়াল ধসে মারা গেছেন তিন জন। স্থানীয় বাসিন্দা কুনদান কুমার শর্মা বলেন, দেয়ালটি আচমকাই ধসে পড়ে।
আমরা ভেবেছিলাম কোনো ভূমিকম্প হচ্ছে। দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি সবাই। বের হয়ে আসা মাত্র ঘরটিও ভেঙে পড়ে।  

নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে আরো ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেপালের কোসি নদীর পানির স্তর বিদপসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে আক্রান্ত হবে ভারতের বিহারও। নদীটি নেপাল হয়ে ওই অঞ্চল দিয়ে ঢুকেছে। ২০০৮ সালে নদীটির গতিপথ ভেঙে পরিবর্তিত হয়। ডুবে যায় বিহারের বিস্তৃত এলাকা। সেসময় ৫০০’র বেশি মানুষ মারা যায়।
ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

এদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আসামে মারা গেছেন ৬ জন ও অরুণাচল প্রদেশে মারা গেছেন ৫ জন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালের প্যাটার্নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই অঞ্চলে আবহাওয়া আরো বৈরিভাব ধারণ করবে। আসন্ন মাসগুলোতে তীব্র খরা ও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও নেপালে সাধারণত জুন মাস থেকে বর্ষাকালীন বৃষ্টির শুরু হয় ও তা চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টুকু উভয়দেশের জন্য বেশ সংকটপূর্ণ। প্রায় প্রতি বছরই এই মৌসুমে অঞ্চলটিতে মারা যায় অসংখ্য মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিপুল পরিমাণ জমি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর