× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজনগর বাজারবাসীর কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এলেন তিনি

বাংলারজমিন

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

দীর্ঘ কয়েক বছর থেকেই রাজনগর বাজারের ড্রেনগুলো উপচে পড়ছিল ময়লা-আবর্জনায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থায়ই ছিল না। বাজারের ফুটপাতও ছিল কাদা-নর্দমায় ভরা। সাধরণ মানুষের হাঁটাচলাও ছিল মুশকিল। এখানেই বসতেন বাজারের সবজি বিক্রেতারা। কাদা-পানিতে ছোটাছুটি করেই চলছিল তাদের ব্যবসা। বাজারের ড্রেন ও ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে অনেক ধরনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছেও বলা হয়েছে।
পত্রপত্রিকায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেতো অনেক লেখাই ছাপা হয়েছে। কিন্তু কারোরই কোনো মাথা ব্যথা ছিল না রাজনগর বাজারের ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে। অবশেষ রাজনগর বাজারের ড্রেনেজ ও ফুটপাথ পরিষ্কারে এগিয়ে এলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রেজাউল করিম সোহেল। সদর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে তার বাড়ি। রাজনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা তপন দেব বলেন, আমি যেখানে (ফুটপাথে) সবজি নিয়ে বসি সেখানে সবসময় কাদাপানি লেগেই থাকে। বিকালে এসে কাদা-পানিতে বসে ব্যবসা করতে পারছিলাম না। ক্রেতারাও কাদার মধ্যে আসতে চায় না। লোকসান গুনছিলাম। তাই কয়েকদিন থেকে দোকান খুলছিলাম না। আজ (রোববার) থেকে খোলব। বাজারের ফুটপাথের পান ব্যবস্যায়ী মহসিন আহমদ বলেন, ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় বৃষ্টির পানিতে বাজার ভেসে থাকতো। কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যেত। পথচারী চলাচল করতেই পারছিল না। এই বৃষ্টির কয়েকদিনে পান বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। সোহেলভাই উদ্যোগ নেয়ায় আমরা ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে রাজনগর বাজারের কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে না। বাজার উন্নয়নের টাকা উপজেলা পরিষদের অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকলেও প্রশাসন এদিকে কোনো খেয়ালই দিচ্ছে না। এনিয়ে গত ৩০শে জুন বাজেট সভায় বাজার উন্নয়নের তহবিল থেকে বিশেষ করে বাজারের ড্রেনেজগুলো পরিষ্কারের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও একটি বাজারঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়। বাজার ঘর নির্মাণের জন্য এলজিইডির মাধ্যমে একটি প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানান ইউএনও। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে বাজারের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় বাজারের ব্যবসায়ীরা হতাশ ছিলেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রেজাউল করিম সোহেল বলেন, আসলে রাজনগর বাজারে ময়লা-আবর্জনার জন্য বাজার করাই কষ্টকর ছিল। নিজের কাছেই খারাপ লাগছিল। তাই নিজ উদ্যোগেই পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর