× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উইম্বলডন জয়ের রহস্য জানালেন হালেপ

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি টেনিস তারকা মার্গারেট কোর্টকে ছোঁয়া হলো না সেরেনা উইলিয়ামসের। ২৩ বারের গ্রান্ড স্লাম জয়ী সেরেনাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের শিরোপা জিতলেন সিমোনা হালেপ। আর হালেপ জানালেন তুখোড় খেলোয়াড় সেরেনার বিপক্ষে তার জয়ের রহস্য। অপেশাদার যুগ ও উন্মুক্ত যুগ মিলিয়ে ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডটি কিংবদন্তি টেনিস তারকা মার্গারেট কোর্টের। শনিবার লন্ডনের অল ইংল্যান্ড ক্লাবে প্রথম রুমানিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের বিজয় মুকুট পরে ইতিহাস গড়েন হালেপ।
র‌্যাঙ্কিংয়ের ১১ নম্বরে থাকা সেরেনাকে ৬-২, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন এ রুমানিয়ান তারকা। মাত্র ৫৬ মিনিটে খেলা শেষ করেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি হালেপের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অর্জন করেন তিনি।
হালেপের দাপট দেখে বিস্মিত মার্গারেট কোর্টও। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি বলেন ‘সে (হালেপ) সত্যিই মুগ্ধকর খেলা খেলেছে। সিমোনা, অভিনন্দন তোমাকে।’
প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের শিরোপা জেতাটা যে কারও কাছেই একটা বিশেষ মুহূর্ত। ব্যতিক্রম নয় হালেপের কাছেও। শিরোপা জেতার পর তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে আমি তেমন নার্ভাস ছিলাম না। আমি কোর্টে এসে নিজের সেরাটা দিয়েছি। কার বিপক্ষে খেলচি এ নিয়ে আমি ভাবিনা। তবে সেরেনার মুখোমুখি হলে আগে কিছুটা ভীত থেকেছি। এটা সত্যিই বিশেষ একটা মুহূর্ত, আমি কখনোই এই দিনটা ভুলবো না। এটা আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল। যখন আমার বয়স ১০ বা ১২ ছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, আমাকে উইম্বলডনের ফাইনাল খেলতে হবে।’
রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা সেরেনা উইলিয়ামসকেই ফাইনালে ফেভারিট মানছিলেন টেনিসের বোদ্ধা বিশ্লেষকরা। আর জয় শেষে হালেপ বলেন, ম্যাচের আগে আমি সিদ্ধান্ত নেই, নিজের দিকে দেখবো, তার (সেরেনা) দিকে নয়। এ কারণেই আমি আমার সেরাটা দিতে পেরেছি। আমি নির্ভার, ইতিবাচক ও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি নিশ্চিত, এটাই আমার জীবনের সেরা ম্যাচ।
সেরেনা বলেন, ‘সেদিন আমি কবরে যাবো’
গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে এটি ছিল সেরেনা উইলিয়ামসের টানা তৃতীয় হার। গত বছর ইউএস ওপেনের ফাইনালে জাপানিজ তারকা নাওমি ওসাকার কাছে হার দেখেন তিনি। এর আগে উইম্বলডের ফাইনালে সেরেনাকে হারান জার্মান তারকা অ্যাঞ্জেলিক কারবার। সাম্প্রতিক টেনিসে সেরেনার শিরোপা স্বপ্ন অর্পূর্ণ থাকার কারণ হিসেবে কোর্টের বাইরে ভিন্ন বিষয় নিয়ে তার ব্যস্ততাকে দায়ী করেন বিলি জিন কিংয়ের মতো কিংবদন্তিরা। লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার মানুষ সেরেনা উইলিয়ামসন। আর টেনিস কোর্টের বাইরেও তিনি একজন ব্যস্ত সেলিব্রিটি। শনিবার ফাইনাল শেষে উইম্বলডনের ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসকে প্রশ্ন করা হয়, লিঙ্গ সমতার আন্দোলন ও সেলিব্রিটি হিসেবে ব্যস্ততা কমিয়ে টেনিসে মনোযোগ দেয়া কি উচিত ছিল তার? জবাবে সেরেনা বলেন- যেদিন আমি লিঙ্গ সমতা ও আমার মতো মানুষের স্বার্থ রক্ষায় লড়াই বন্ধ করবো, সেদিন আমি কবরে যাবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর