চাঁদপুর সদর উপজেলার গুলিশা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী। গতকাল সকালে চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকায় কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরগামী ডেমু ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এর আগে ভোর রাতে স্ত্রী বেবী বেগমকে নিজ বসতঘরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে খোরশেদ।
নিহত বেবী বেগমের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, সকালে তার বোন জামাই খোরশেদ আলম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পর সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যু সংবাদ আসে। দ্রুত তারা সংবাদটি দিতে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখে দরজায় তালা দেয়া। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেবী বেগমের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। ঠিক কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক কোনো কারণ জানাতে পারেনি নিহতদের পরিবার। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে প্রায়ই খোরশেদ আলম তার স্ত্রীকে মারধর করতো।
নিহত দম্পতির ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় খোরশেদ ও তার স্ত্রী বেবী একাই বাড়িতে থাকতেন। চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রব জানান, কী কারণে এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহই মনে হচ্ছে।