× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলে ৪৩৪ টন ধান কিনবে সরকার

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বোরো মৌসুমের প্রথম ধাপের সরকারিভাবে ধান ও চাল ক্রয় সংগ্রহ এখনো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় দ্বিতীয়ধাপে আরো ৪৩৪ টন ধান ক্রয়ের জন্য নতুন বরাদ্দ এসেছে। এ বরাদ্দ অনুযায়ী ৪৩৪ কৃষককে এ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় কৃষি অফিস নতুন তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আগামী ১৭ই জুলাই থেকে নতুন তালিকা অনুযায়ী কৃষকরা উপজেলা খাদ্যগুদামে সরকারি অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের ধান বিক্রি করতে পারবেন। গত ২৫শে এপ্রিল সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করার কথা থাকলেও সুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা তৈরিতে দেরি হওয়ায় এ উপজেলায় গত ২১শে মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা কৃষি অফিস প্রথমধাপের যাচাই-বাছাই শেষে ২৬১ জন কৃষকের তালিকা তৈরি করে খাদ্য অফিসকে সরবরাহ করে। এই তালিকা অনুযায়ী একজন কৃষক সর্বোচ্চ ১ টন ধান (অর্থাৎ সাড়ে ২৭ মণ) সরকারি গুদামে মণ প্রতি ১০৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। এ তালিকায় এখন পর্যন্ত ১৮৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৮৯ টন ধান সংগ্রহ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।
এই তালিকায় ধান সংগ্রহ আগামী ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে জানান উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা তকবীর হোসেন। তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাপে সরকার এ উপজেলায় আরো ৪৩৪ মেট্রিক টন ধান কিনবে। এ লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তালিকা তৈরি করছে। এটি হাতে পাওয়ার পর নতুন বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী ৪৩৪ জন কৃষকের কাছ থেকে একই দামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রথমধাপে প্রতি কৃষকের কাছ থেকে ১ টন ধান ক্রয় করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় কৃষক যাতে একই সুবিধা পান সে জন্য ৪৩৪ কৃষকের তালিকা করে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। যাতে করে প্রতি কৃষকের কাছ থেকে ১ টন ধান সংগ্রহ করা যায়। খাদ্য কর্মকর্তা তকবির হোসেন জানান, আমরা প্রথম ধাপে ২৬১ টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ পেয়ে এর মধ্যে ১৮৯ টন এ পর্যন্ত ধান ক্রয় করেছি। টার্গেট পূরণ না হওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ধান শুকাতে না পারায় ধান সংগ্রহে বিঘ্ন ঘটে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নতুন বরাদ্দ অনুয়ায়ী তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে প্রথম ধাপের অবশিষ্ট ধানসহ নতুন বরাদ্দের ৪৩৪ টন ধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিনতে পারবো।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর