× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট /১৪ হাজার টাকায় শিশু ধর্ষণ রফাদফা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ৪র্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ১৪ হাজার টাকায় রফাদফার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ দোষীদের গ্রেপ্তার, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছেন। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এছাড়া, আগামী ২১শে জুলাইয়ের মধ্যে দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার, ফুলবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-এর সঙ্গে কথা  বলে এই বিষয়ে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানানোর জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিশুর ধর্ষণের মূল্য ১৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি আপসরফা করা হয়। ঘটনাটি গত ৩ জুলাই উপজেলার ৭নং শিবনগর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর আবাসন এলাকায় ঘটে।
সালিশে অভিযুক্তকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও ওই শিশুর পিতাকে দেয়া হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বাকি ৭ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে সালিশকারীদের মধ্যে। ধর্ষিতার পিতা ভবিষ্যতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেনো কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নিতে না পারেন এবং বিষয়টি যেন কারও কাছে ফাঁস না করেন সেজন্য ৩০০ টাকা মূল্যের ব্লাংক স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নিয়ে রাখা হয়েছে ওই সালিশে।

জানা যায়, ঘটনার দিন আবাসনের বাসিন্দা ওই রিকশাচালকের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী মেয়ে দোকান থেকে জুস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে একই আবাসনের বাসিন্দা মেহেদুল ইসলাম (৩৫)। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য শুরু হয় শিশুর পিতা-মাতার ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপসহ হুমকি। এক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ধর্ষণ ঘটনাটি মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর