ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিচার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক বলেছেন বাজারে থাকা পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক মানব দেহে প্রবেশের ফলে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। মানুষের শরীরে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে। এর মধ্যে অনেক রোগ আছে যেগুলো প্রাণঘাতী। এসব প্রাণঘাতী জীবানুকে মারার জন্য আমরা মানব দেহে অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার করি। যদি প্রতিদিন দুধের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিবায়েটিক প্রবেশ করতে থাকে এক সময় অ্যান্টিবায়েটিক তার কার্যকারিতা হারাবে। তখন অসুখ হলে অ্যান্টিবায়েটিক খেলেও তা কার্যকর হবে না। তখন মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই। দেখা যাবে সাধারন অসুখেই আমাদের মৃত্যু হবে।
মানবজমিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। শিশুদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাজুক থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পরিনত হয়। দুধের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়েটিক শিশুদের শরীরে প্রবেশ করলে তাদের ক্ষতির পরিমানটাও বেশি হয়। দুধে অ্যান্টিবায়েটিক গর্ভবতী মায়েদের জন্যও ক্ষতিকর । দুধের মধ্য দিয়ে তা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রবেশ করলে গর্ভের সন্তানের সঠিক বৃদ্ধি ঘটেনা । এতে করে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক। তিনি বলেন সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন আমার নামে মামলা করবেন। ডেইরী শিল্পের মালিকরা বলছেন আমার নামে মামলা করবেন। বিএসটিআই বলছে আমার নামে মামলা করবে। বাজারে থাকা পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের পরীক্ষায় মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিপজ্জনক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। এটা যদি ভুল বলে থাকি আমাদের শাস্তি হবে। তার আগে আপনারা সমস্যা সমাধান করেন। আমরা ডেইরী শিল্পের ওপর নির্ভর করতে চাই। সরকারের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তাদের উদ্যোগী হয়ে এসমস্যা সমাধান করা উচিৎ। যাতে দ্রুত নিরাপদ দুধ খেতে পারে মানুষ।