× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুরস্কারটা পেলেন না সাকিব

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার

দল সেমিফাইনালে খেলতে না পারার দুঃখটা বাড়ছে সাকিব ভক্তদের। সম্ভবত বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে খেলতে না পারার কারণেই মর্যাদার ব্যক্তিগত পুরস্কারটি পেলেন না সাকিব আল হাসান। এবারের বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব কুড়ালেন কেন উইলিয়ামসন। সাকিব আল হাসানের সম্ভাবনা  নিয়ে ফাইনালের আগে ড্যামিয়েন ফ্লেমিং বলেন, ‘সেমিফাইনালে না ওঠা দলের কেউ টুর্নামেন্ট সেরা হলে সেটি হবে বিস্ময়কর। আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত হয়তো ফাইনালের দুই দলের কেউ পাবে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী পেসার বলেন, ‘তবে সাকিবের যা পারফরম্যান্স, তাতে সে সেরা হওয়ার দাবি করতেই পারে। বিচারকদের জন্য কঠিন হবে।’ পুরস্কার ঘোষণার সময় সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হোসেন বলেনÑ সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মা ও মিচেল স্টার্ক আসর সেরা খেতাবের বড় দাবিদার। তবে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য এবং অসাধারণ নেতৃত্ব গুণের কারণে পুরস্কারটা পাচ্ছেন কেন উইলিয়ামসন।
এবারের বিশ্বকাপে ৮ ইনিংস খেলে ৮৬.৫৬ গড় ও ৯৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে ৬০৬ রান করেছেন সাকিব।
বল হাতে উইকেট ১১টি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের নজির গড়েছেন তিনি। আগে কখনও এক আসরে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানও ছিল না কারও। সাকিবের সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হয় সেমিফাইনাল থেকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে। এই দুই দলের বেশ ক’জন ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইয়ে।
এক আসরে ৫ সেঞ্চুরির অভাবনীয় কীর্তি গড়া রোহিত শর্মা সেমিফাইনালে ফিরেছেন কেবল ১ রানে। টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ৬৪৮ রানে। আসরে সাকিবের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন রোহিত।
একই চিত্র ডেভিড ওয়ার্নারের। সাকিবের চেয়ে ২ ইনিংস বেশি খেলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের রান ৬৪৭। ভালোভাবেই দৌড়ে ছিলেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। এবারের বিশ্বকাপে ২৭ উইকেট নিয়ে স্টার্ক ভেঙে দেন এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের গ্লেন ম্যাকগ্রার (২০০৭) রেকর্ড।
আসরে ১০ ইনিংসে ৮২.৫৭ গড়ে উইলিয়ামসনের সংগ্রহ ৫৭৮ রান । তবে কেবল সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না তার পারফরম্যান্স। বলতে গেলে টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের ব্যাটিংকে একা বয়ে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। সঙ্গে ছিল অসাধারণ নেতৃত্ব ।
ফাইনালের আগে নিউজিল্যান্ডের বোলিং কোচ ও বাংলাদেশের সাবেক কোচ শেন জার্গেনসেন বলেন, ‘সাকিব যেভাবে খেলেছে, টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফি পেলে অবাক হবো না। তবে দল যেহেতু কোয়ালিফাই করতে পারেনি, তাকে বেছে নেয়া কঠিন হবে বিচারকদের জন্য। আমি বরং মনে করি, সে যে এখনও লড়াইয়ে আছে, এটিও একটি স্বীকৃতি।’
ডেইলি মেইলের ক্রিকেট প্রতিনিধি ও ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথের ব্যাখ্যাটা ছিল আরো পরিষ্কার। লরেন্স বুথ বলেন, ‘সাকিব জিতলে সেটি এদিক থেকে অস্বাভাবিক হবে যে তার দল সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি। কিন্তু সে যদি সত্যিই পুরস্কারটি পায়, সেটি যোগ্য হিসেবেই পাবে। আমার মনে হয়, কারও অভিযোগ করার কিছু থাকবে না। লম্বা সময় সে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিল, ১১টি উইকেট পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটিও অসাধারণ ছিল। বিশ্বকাপে এরকম পারফরম্যান্স অনেকের স্বপ্ন থাকে। তবে শুরুতে যেটা বললাম, সেমিফাইনালে না ওঠা দলের কেউ টুর্নামেন্ট সেরা হওয়াটা অস্বাভাবিক। তবে সেরা হওয়ার জন্য সম্ভব সব কিছুই সে করেছে।’
এবারের বিশ্বকাপে ৮ ইনিংসে সাকিবের সংগ্রহ ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৪১, ৫১, ৬৬ ও ৬৪। বিশ্বকাপের এক আসরে ৭টি ৫০-উর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার নজির রয়েছে কেবল ভারতীয় গ্রেট ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের (২০০৩)। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ৬০০+ রানের কৃতিত্ব  দেখান সাকিব। এমন নজির ছিল কেবল শচীন (৬৭৩ রান ২০০৩) ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ম্যাথিউ হেইডেনের (৬৫৯ রান ২০০৭)। এবার অবশ্য সাকিবের পর ৬০০ রানের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেন রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নারও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিবের ৫১ রান ও বোলিং ফিগার ছিল ৫/২৯। বিশ্বকাপে একই ম্যাচে অর্ধশতক ও পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব দেখানো মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার সাকিব। এমন অন্য নজিরটি ভারতীয় অরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের (২০১১)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর