জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ। এর আগে আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হয়।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে তৃণমূলের নেতকর্মীরা এসে ভীড় জমান। পুরো এলাকায় যেন শোকের ছায়া নেমে আসে। কুমিল্লা মুরাদনগর আন্দিকোট ইউনিয়নের জাপা সভাপতি আবুল কালাম এসেছেন শেষবারের মতো প্রিয় নেতাকে দেখতে। তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে জাপার রাজনীতি করি, স্যারকে কখনও কাছ থেকে দেখিনি। আজ এমনিভাবে দেখা হবে, কে জানতো?
জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম এসেছেন পিরোজপুর থেকে।
তিনি বলেন, তিন মাস আগে দেখা হয়েছিল। তিনি সবসময় বলতেন, তোমরা শান্ত থাক। দল ঠিক রাখতে হলে সবাইকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার স্থানীয় ওয়ার্ডের জাপা সেক্রেটারি মাকসুদুর রহমান বলেন, স্যার তো আমাদের উত্তরবঙ্গের সন্তান। অসুস্থ অবস্থাতে স্যার রংপুর গিয়েছিলেন, সেখানেই তাকে শেষ বার দেখেছিলাম। স্যার চলে যাবেন, জানতাম। কিন্তু মন তো মানছে না।
জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রয়েছেন জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সাঈদুর রহমান টেপা, আলমগীর শিকদার লোটন, জাপার সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেল, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।