বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ৩ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৯ রান। চতুর্থ বলে দৌড়ে ২ রান নিতে গেলেন বেন স্টোকস। দ্বিতীয় রানটা পূর্ণ করার আগেই বাউন্ডারি লাইন থেকে মার্টিন গাপটিলের থ্রো এসে লাগলো তার ব্যাটের পেছনের সাইডে। এরপর বলটা সোজা চলে গেল বাউন্ডারির বাইরের। দৌড়ে ২ আর ওভার থ্রোতে ৪, ইংল্যান্ড পেল মোট ৬ রান। ওই রানটাই যেন শেষতক ব্যবধান গড়ে দিল। নিউজিল্যান্ড ভক্তদের এক কথা- ইংল্যান্ডকে ওভার থ্রোতে ৬ রান দেয়া ঠিক হয়নি আম্পায়ারদের। ওভার থ্রো’র ব্যাপারটা ঠিক আছে। কিন্তু ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসির নিয়মানুযায়ী ইংল্যান্ড ৬ নয় ৫ রান পায়।
ভুলটা ধরেছেন আইসিসির ৩ বারের সেরা সাবেক আম্পায়ার ও ক্রিকেট আইন প্রনয়নকারী সংস্থা এমসিসির উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য সাইমন টাফেল।
টাফেল বলেন, ‘এটা আম্পায়ারদের জাজমেন্টের ভুল। ইংল্যান্ড ৬ রান নয় ৫ রান পায়।’ এমসিসির আইন বইয়ের ১৯:৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যাটসম্যান দৌড়ে রান পূর্ণ করার আগেই ওভার থ্রোতে বাউন্ডারি হলে শুধু ওভার থ্রোর রান গণনা করা হবে। অর্থাৎ দৌড়ে নিতে যাওয়া রানটা বাতিল হয়ে যাবে আর ব্যাটসম্যানও বদল হবে। সে হিসাবে দৌড়ে নেয়া ২ রানের জায়গায় ইংল্যান্ড পেতো ১ রান। সঙ্গে স্ট্রাইকিং প্রাপ্তে স্টোকসের জায়গায় থাকতেন আদিল রশিদ। আর শেষ ২ বলে তখন জয়ের জন্য ৪ রান প্রয়োজন হতো ইংল্যান্ডের।
তবে টাফেল মনে করেন না ওই ৬ রান ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওমন ভুল হওয়া স্বাভাবিক। একজন আম্পায়ারকে অনেক দিক খেয়াল রাখতে হয়। থ্রো বল স্টোকসের ব্যাটে লাগার সময় তিনি কোথায় ছিলেন সেটাও। এটা বেশ কঠিন।’ তবে ফাইনালের দায়িত্ব পালনকারী আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও মারিয়াস ইরাসমাস দুজনই কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পুরো বিশ্বকাপেই এমন অনেক ভুল সিদ্ধান্ত দেখা গেছে।