হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কাজীরচক গ্রামে একটি গোয়ালঘর থেকে গতকাল দুপুরে নুরজাহান বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নুরজাহান বেগম ওই গ্রামের আব্দুল জালালের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গোয়ালঘরে নুরজাহান রাতে ঘুমায়। কোনো সারাশব্দ না পেয়ে দুপুরের দিকে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে তীরের সঙ্গে ফাঁস লাগানো বৃদ্ধা নুরজাহানকে ঝুলন্ত দেখতে পায়। এ ঘটনার পর একমাত্র ছেলে শাহআলম ও ছেলের বউ দুধবানু পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, তার একমাত্র ছেলে দুবাই প্রবাসী শাহআলম প্রায় ২ বছর পূর্বে দুধবানু নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। পুত্রবধূ ঘরে আসার পর থেকেই সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। পুত্রবধূর মানসিক অত্যাচারে বিপর্যস্ত ছিল নুরজাহান। ঠিকমতো খাবার দাবারও জুটত না এ বৃদ্ধার। একপর্যায়ে তার ঠাঁই হয় গোয়ালঘরে। সেখানেই একা অমানবিকভাবে রাত্রীযাপন করতো। গত রোববার রাতের কোনো এক সময় ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে থাকে এই হতভাগ্য মায়ের লাশ। পারিবারিকভাবে শাহআলম প্রচার করে তার মা ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সে ও তার স্ত্রী দুধবানু ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান গোয়ালঘর থেকে হতভাগ্য নুরজাহান বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, এ বৃদ্ধাকে তার পুত্রবধূ মানসিক নির্যাতন করতো। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ মৃত্যু সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।