× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জেলা পরিষদ সদস্যের মামলায় স্বামী জেল হাজতে

বাংলারজমিন

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

২য় দফা বিয়ে করেও সংসার করা হলো না জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সালেহা বেগম চৌধুরীর (৩০)। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আবারো সংসার ভাঙ্গার অশনি সংকেত। সালেহার মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্বামী শামীম চৌধুরী বর্তমানে হবিগঞ্জ কারাগারে জেলের ঘানি টানছেন। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য সালেহা বেগম চৌধুরীর প্রথম বিয়ে হয় চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গুলছড়ি গ্রামের আঃ হান্নানের সঙ্গে। এখানে তার ১ ছেলে এবং ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। পুত্র সন্তানটি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী আঃ হান্নান মারা যান। স্বামীহারা সালেহা সংসার চালাতে আসামপাড়া বাজারে খুলেন টেইলারিংয়ের দোকান।
দোকান দেয়ার পর তার পরিচিতি বাড়তে থাকে দ্রুত গতিতে। এ সুবাদে তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করে সদস্য নির্বাচিত হন। এক সময় টেইলারিংয়ের দোকানটি তিনি স্থানান্তর করে একই বাজারে কেয়ার বাংলাদেশের নির্মিত ভবনে নিয়ে যান। এ ভবনেই বসবাস শুরু করেন তিনি। ৫ বছর পর তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন থেকে চলে যান হবিগঞ্জ শহরে। এখানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন সালেহা। এ ফাঁকে ২০১৭ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টের জনৈক শামীম চৌধুরীর (৩৫) সঙ্গে। শামীম চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের পুত্র। ফেসবুকে দীর্ঘদিন চুকিয়ে প্রেম চলার পর এক সময় উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামীকে নিয়ে সালেহা তার বাসাতেই বসবাস করতে থাকেন। এরই মাঝে সালেহা বেগম চৌধুরী গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই স্বামী শামীম চৌধুরীর সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে স্ত্রী সালেহার মতবিরোধ দেখা দেয়। সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। গত ৮ই জুলাই সাংসারিক কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী সালেহাকে মারধর করেন শামীম। আহত সালেহাকে তার আত্মীয়রা হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর সালেহা বেগম স্বামীকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা ঠুকে দেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ শামীমকে আটক করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, স্ত্রীর অবাধ চলাফেরার প্রতিবাদ করতে গেলে সালেহার আত্মীয়রা তাকে জোর করে আটকিয়ে রাখে এবং পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মাসুক মিয়া বলেন, স্ত্রীর মামলার কারণেই শামীমকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সালেহা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার স্বামী শামীম আহম্মদ এর আগে আরো তিটি বিয়ে করেছেন। তারা হলো- পুরান মুন্সেফীর কলি আক্তার, মুসলিম কোয়ার্টারের হাসি বেগম ও সুমনা খাতুন।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর