× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ড / গ্রেপ্তার সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান মিন্নি

দেশ বিদেশ

বরগুনা প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত ও সন্দেহভাজন সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের হাজির করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আগামী ৩১শে জুলাই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে তাদের পুনরায় জেল হাজতে পাঠান। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২রা জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এই ঘটনায় বর্তমানে রিফাত ফরাজী, রাব্বি আকন, আরিয়ান শ্রাবণ ও কামরুল হাসান সাইমুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যারা দিয়েছে তাদের সবাইকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আগামী ৩১শে জুলাই পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর মধ্যে রাতুল সিকদার জয় নামে এক আসামির বয়স কম হওয়ায় তাকে সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার আরো চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে, রিফাতকে হত্যার পর তার স্ত্রী আয়শা ছিদ্দিকা মিন্নিকে খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার পাঁয়তারা করছে একটি মহল। এ অবস্থায় যারা খুনিদের বাঁচাতে চাইছেন, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন মিন্নি। স্বামীকে বাঁচাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাই খালি হাতে লড়েছিলেন মিন্নি। কিন্তু ঘটনার পরের দিন সুনাম দেবনাথ নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিন্নিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ ও নানাভাবে সমালোচনা শুরু হলে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি পিছপা হন। কিছুদিন চুপ করে থাকলেও মিন্নির পিছু ছাড়েন নি তিনি। মিন্নির দুর্নাম রটাতে এখন রীতিমতো মাঠে নেমেছেন এই সুনাম। মিন্নিকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবিতে রোববার বরগুনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বরগুনার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। বরগুনার সচেতন মহলের দাবি, সুনাম এর নেপথ্যের কারিগর। মানববন্ধনের একটা বড় সময়জুড়েই সুনাম দেবনাথ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও রিফাতের বাবা আর চাচা সাদামাটা সংক্ষিত বক্তব্য দেন।
এ সময় সুনাম তার বক্তব্যে বলেন, রিফাতের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তুলেছে, তার বড় ধরনের তদন্ত হওয়া দরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ছবি এবং ভিডিও দেখা যাচ্ছে, তাতে আমাদের সবার মনে হয় এর তদন্ত হওয়া দরকার। তারপর কে আইনের আওতায় আসবে- কী আসবে না, তদন্তেই তা বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে মিন্নি বলেন, অস্ত্রধারীদের তোপের মুখে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। ভিডিও ফুটেজে, সরাসরি নিজের চোখে মানুষ সে দৃশ্য দেখেছে। আমার শ্বশুর ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, সেখানে আমি ১ নম্বর সাক্ষী। এখন আমার শ্বশুরকে ভুল বুঝিয়ে চাপ প্রয়োগ করে প্রভাবশালী ও বিত্তশালীরা মামলাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন।
সে কারণেই আমাকে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত করতে আসামি ও তাদের পক্ষের লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে। যারা খুনিদের বাঁচাতে চাইছেন, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।
রিফাত খুনের আগের দিন নয়ন বন্ডের বাসায় মিন্নি গিয়েছিলেন বলে মিডিয়াতে নয়ন বন্ডের মায়ের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, ২৫শে জুন দুপুরে রিফাতের ফুফাতো বোন হ্যাপির চরকলমীর এলাকার বাসায় রিফাতের পুরো পরিবার গিয়েছিল। মিন্নিও তাদের সঙ্গেই ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর