× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড /উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়লো ওয়াকওয়ে!

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

উদ্বোধনের আগেই চট্টগ্রামের অন্যতম মেগাপ্রকল্প আউটার রিং রোডের ওয়াকওয়ে ধসে পড়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মুসলিমাবাদ ঘাটের কাছে এই ওয়াকওয়ে ধসের ঘটনা পর্যটক ও স্থানীয়দের নজরে আসে শনিবার দুপুরে। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রশ্ন উঠে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠে, প্রকল্পটির কাজের মান নিয়েও। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর প্রকল্প নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধসে পড়া স্ল্যাবগুলো সরিয়ে নিয়েছে। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা সামান্য একটা ঘটনা। নিচ থেকে বালু সরে যাওয়ায় এটা হয়েছে।
তাছাড়া এখনো প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হয়নি। চলমান একটা কাজ। এটা নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে? তবে এই ধসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, অতি বৃষ্টিতে স্ল্যাবের নিচের বালি সরে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। ওয়াকওয়ে ধসের খবর পেয়ে ৪/৫ জন প্রকৌশলী নিয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওয়াকওয়ে নির্মাণে আরসিসি (রড) না নিয়ে সিসি (কংক্রিট) দেয়া হয়েছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরসিসি দিয়ে ব্লক তৈরি করা যায় না। সিসি দিয়ে ব্লক তৈরি করতে হয়। আরসিসি ব্লক নির্মাণ করলে এতে এটার টেমপারে ব্যাঘাত ঘটে। এতে পরে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি আরো বলেন, আমরা বৃষ্টির কারণে সব জায়গায় ব্লক দিতে পারিনি। আর আমাদের এ কাজ চলমান। সমপূর্ণভাবে শেষ হয়নি। যার জন্য এ বৃষ্টিতে খালি জায়গা দিয়ে বালি সরে গিয়ে স্ল্যাব ভেঙে পড়েছে। যেকোনো কিছু নির্মাণ কাজ যদি পুরোপুরিভাবে শেষ করা যায়, তাহলে নির্মাণকৃত জিনিস কখনও অল্পতে ভেঙে যায় না। সরজমিন দেখা যায়, মুসলিমাবাদ ঘাট এলাকায় রিং রোডের পাশে সাগরের কূল ঘেঁষে বসানো ব্লকের সঙ্গে জুড়ে দেয়া ওয়াকওয়ের প্রায় ৩০/৩৫ ফুট অংশ ধসে পড়ে। যে জায়গায় ৮-১০ ফিট বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। সূত্র জানায়, শহর রক্ষা বাঁধের পাশাপাশি এলাকাটিকে পর্যটন সপষ্ট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা থেকেই নেয়া হয়েছিল এই প্রকল্পটি। পরিকল্পনা অনুযায়ী রিং রোডের এই ওয়াকওয়েটি সমুদ্র দর্শনের জন্য ব্যবহৃত হবে। এখনো এসব ওয়াকওয়েতে হেঁটে কিংবা দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের মতে, কাজ শেষে এই ওয়াকওয়েতে হাজার হাজার পর্যটক চলাফেরা করবেন। তখন যদি এই ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনাও ঘটতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কার বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়াতে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর আমরা আমাদের কাজ পুরোপুরি শেষ করলে এমনটা হবে না- আশা রাখি। আমরা দ্রুত সময়ে এটির মেরামত কাজ সমপন্ন করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর