× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নুসরাত হত্যা /গভর্নিং বডির সভাপতি ম্যাজিস্ট্রেট এনামুলের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ তদন্তের নির্দেশ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

নুসরাত হত্যাকাণ্ড ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় সোনাগাজী মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকে এনামুল করিমের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে  নুসরাতের ঘটনায় এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা  হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ফেনীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া জনপ্রশাসন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে তদন্ত করে ৩০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল বাশার। পরে এবিএম আব্দুল্লাহ আল বাশার বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ড ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগের ঘটনায় মাদ্রাসার গভর্নিং বডির  সভাপতি এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন ও শিক্ষা সচিব এ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। এর আগে , নুসরাতের ঘটনার দায়দায়িত্ব খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দপ্তর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
যেখানে নুসরাতের মা তার বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন। এছাড়াও এর আগেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।

গত ২১শে জুন একটি পত্রিকায় ‘এডিএম এনামুলের ভূমিকা, পুলিশের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রণালয়ের’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩০শে জুন রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটি, তার কার্যপরিধি এবং তদন্ত কমিটি এডিএমের ব্যাপারে তদন্ত করেছে কিনা, করে থাকলে কোন এখতিয়ার বলে করেছে তা স্পষ্ট করতে হবে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মল্লিকা খাতুন। চিঠির বিষয়বস্তু হিসেবে লেখা হয়, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের দায়িত্বে অবহেলার ব্যাপারে বিশেষ প্রতিবেদন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তদন্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় প্রশাসনিকভাবে যারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। নুসরাতের পরিবারের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশাসনিকভাবে যারা এ ঘটনায় গাফিলতি করেছিল, তাদের ব্যাপারে তথ্য উঠে আসে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর