× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বালিশকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন / ৩৬ কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল আবাসন প্রকল্পের সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদন আগামী রোববার ২১শে জুলাই বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হতে পারে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, চারটি ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য সরবরাহ করা মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি।
তাই এই বাড়তি পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে পাবনা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে বালিশ কিনতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর একটি বালিশ ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে ৭৬০ টাকা। গত মে মাসে এমন সংবাদ প্রচারের পর ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ২০ তলায় একটি বালিশ তুলতে ৭৬০ টাকার সেই খরচ হতবাক করে সবাইকে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর