২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সম্পূর্ণরূপে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০ মোতায়েন করবে তুরস্ক। এ ছাড়া, বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি তৈরিতে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি অগ্রাহ্য করে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, সোমবার এরদোগান-বিরোধী অভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে রাজধানী আঙ্কারায় এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে জমা হওয়া জনতার উদ্দেশে এরদোগান বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০’র চালান পেতে শুরু করেছে তুরস্ক। কেউ কেউ বলছিল, আমরা এগুলো কিনতে পারবো না। সৃষ্টিকর্তা চাইলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে আমরা সেগুলো সক্রিয় করে তুলবো। তিনি আরো বলেন, যারা আমাদের দেশে হামলা চালাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এই এস-৪০০ হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে মিলে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করা। আমরা সেটাই করবো।
প্রসঙ্গত, গত শুক্র ও শনিবার রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় চালান পৌঁছেছে তুরস্কে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার তুরস্ককে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি কেনা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানালেও লাভ হয়নি। মার্কিন হুঁশিয়ারি অমান্য করে রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে এরদোগান সরকার। যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছিল, রাশিয়ার কাছ থেকে না কিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনুক তুরস্ক। কিন্তু তুরস্কের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করতে রাজি হয়নি বলেই তারা রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরোধী। তুরস্ক যদি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাবে না তারা। যদিও এফ-৩৫ তৈরি কর্মসূচিতে তুরস্কের বিনিয়োগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি। আরো উল্লেখ্য যে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনা প্রথম দেশ হচ্ছে তুরস্ক।