বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে নির্ধারিত ১০০ ওভারের ম্যাচে টাই করে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেরও টাই করে কিউইরা। কিন্তু আইসিসি’র বাউন্ডারি গণনায় নিয়মে ফাইনাল হেরে শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় কোচ গ্যারি স্টিডের দল নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু ক্রিকেট সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি বিশ্বকাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারতো, বলেন কিউই কোচ। তিনি বলেন, ‘ম্যাচে টাই হাওয়ার পর যখন সুপার ওভারেও টাই হয় এমন অবস্থায় আইসিসি’র যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত ছিল।
আইসিসি’র বাউন্ডারির নিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন কিউই কোচ স্টিড। তিনি বলেন, ‘শ্বাসরুদ্ধ এই ফাইনালের শেষটা এমনভাবে হওয়া কাম্য নয়। একশ’ ওভার ও সুপার ওভার শেষেও দুই দলের মধ্যে সেরা বেছে নেয়া যায়নি।
শেষে বাউন্ডারি গণনায় বিশ্বকাপ জয়! নিয়মের বেড়াজালে আমাদের খালি হাতে ফিরতে হলো। এই ম্যাচ দেখার পর আগামী দিনে আইসিসি নিশ্চয়ই নিয়মের বদল আনবে।’
প্রধান কোচের সঙ্গে একমত কিউইদের ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলানও, ‘জানি, খেলার ফলাফল পরিবর্তন হবে না। তবে সাত সপ্তাহব্যাপী এত বড় একটা টুর্নামেন্টের পর ফাইনালেও যখন জয়ী দল নির্নয় করা যায় না, তখন দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেতো। এটাই হতো উপযুক্ত ফল। কিন্তু এটাই খেলা আর খেলার নিয়মগুলো আমাদের মানতে হবে।’
ওভার থ্রোতে অতিরিক্ত রান পেয়েছে ইংল্যান্ড। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে ক্রিকেট অঙ্গনে। গাপটিলের ছুড়ে মারা বল ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি বাইরে চলে যায়। তাতে দৌড়ে দুই রান আর ওভার থ্রোতে ৪ রান মিলে ৬ রান যোগ হয় ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে। সাবেক আম্পায়ার সিমন টাফেল এনিয়ে বলেন, ‘দ্বিতীয় রানের সময় স্টোকস দাগ অতিক্রম করিনি। সে অনুযায়ী সেটা ৫ রান হবে। এবং স্ট্রাইকে থাকবে অপর ব্যাটসম্যান।’ টাফেলের বক্তব্য নিয়ে কিউই কোচ গ্যারি স্টিড বলেন, ‘আমি আসলে ব্যাপারটা জানতাম না। কিন্তু দিন শেষে আম্পায়ারাও তো মানুষ। মাঝে মধ্যে তারাও ভুল করে। কিন্তু এমন সময় ভুল করা কারোই কাম্য না।’