× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রবাসে নারীর মৃত্যুতে এত রহস্য কেন?

দেশ বিদেশ

আল আমিন নয়ন
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার

 গিয়েছিলেন সৌদি আরব। মৃত্যু হলো মিশরে। তাও আবার ৫তলা থেকে পড়ে। পরিবার জানে না মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স হান্নান ব্রাদার্স (আরএল-৫৫২) সৌদি আরব পাঠান। কিন্তু বেগম সৌদি থেকে কিভাবে মিশর গেলেন কেউ জানে না এর রহস্য। মিশরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয় ২৯শে মে মিশরে ৫তলা থেকে পড়ে মোসা: বেগম নামে এক নারীকর্মী মৃত্যুবরণ করেন। বেগম এর স্বামী আব্দুল আজিজ বলেন, বেশ কিছুদিন আগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই গ্রামের বেগম নামের এক নারী মিশরে মারা গেছে।
কিন্তু আমার স্ত্রী গেছে সৌদি। সেজন্য আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিইনি। এরপর মিশর থেকে যখন আমাকে ফোন করা হলো তখন জানতে পারলাম আমার স্ত্রী মিশরে মারা গেছে। মৃত্যুর খবর জানার পর রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো পাত্তাই দেয়নি আমাদের। আরেক নারী মনোয়ারা (৩৬), পরিবার জানে না তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রিক্রুটিং এজেন্সি মজুমদার ওভারসিজ (আরএল-১১৮১) গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদি পাঠায়। মাত্র ২ মাসেই জীবন দিতে হয় এই নারীকে। দীর্ঘ ১৩ মাস পর গত ২৮শে জুন মৃত দেহ দেশে আসে। পরিবারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সি জানায় খাবার খেতে না পারার কারণে মনোয়ারা মারা যায়। কিন্তু মনোয়ারার ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এমন রহস্য শুধু বেগম আর মনোয়ারার মৃত্যুতে নয়, এমন রহস্য অনেক নারীর মৃত্যুতেই। এমনি অজানা কারণ নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৬৯ নারীর মৃতদেহ দেশে ফিরেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর