× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাহালম মূলত মিডিয়ার কারণেই মুক্ত: হাইকোর্ট

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার

নিরপরাধ জাহালমের ঘটনাটি মিডিয়ায় না আসলে এখনো হয়তো তাকে কারাগারেই থাকতে হতো। জাহালম হয়তো আরেক জজ মিয়া হতো এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেন তা দেখতে চান হাইকোর্ট। পরে আদালত আগামী ২রা আগস্ট পর্যন্ত এ মামলার শুনানি মূলতবি করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল বাশার। জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।
আদালত বলেন, প্রতিবেদনে যাদের নাম আসছে তাদের বিষয়ে দুদক বিভাগীয় ব্যবস্থা কী নেয় আমরা সেটার অপেক্ষায় থাকলাম। আমরা এখন ক্ষতিপূরণের রুলের দিকে যাবো। আদালত আরো বলেন, প্রতিবেদনে যাদের নাম আসছে (দুদক, ব্যাংক কর্মকর্তারা) তারা যেন টাকা উত্তোলন করতে না পারে, বিশেষ করে প্রভিডেন্ট ফান্ড। এ বিষয়টা নজরে রাখবেন। এ সময় সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী বলেন, সোনালী ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালত সোনালী ব্যাংকের বিভাগীয় ব্যবস্থার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এর আগে ১২ই জুলাই আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে দুদক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত গণমাধ্যমকে বাংলাদেশের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেখানেই অন্যায় অবিচার হয়েছে সেখানেই গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এতে দেশ উপকৃত হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগীরা উপকৃত হয়েছেন। এভাবে গণমাধ্যম বিচারবিভাগকে সহায়তা করছে। বিনাদোষে ৩ বছর জেল খাটা জাহালমকে নিয়ে মিডিয়া এগিয়ে না আসলে আজও হয়তো তাকে কারাগারেই থাকতে হতো। জাহালমকে হয়তো আরেক জজমিয়ার ভাগ্য বরণ করতে হতো। জাহালম মূলত মিডিয়ার কারণেই আজ মুক্ত। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আবু সালেকের (মূল অপরাধী) বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ বছরের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তিনি মুক্তি পান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর