× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আসাদকে পাল্টা জবাব আরিফের

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার

বর্ষায় সিলেটের উন্নয়ন কাজ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। চলছে বাহাস। সিলেট চেম্বার প্রশাসক আসাদের মতে- ‘শুধু ভাঙা-গড়া নয়, নাগরিক সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত’। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বলেছেন- ‘ওরা দেখেও দেখে না। বুঝেও বুঝে না।’ এই অবস্থায়ও দমে নেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও। জানিয়েছেন- ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিতে যে অবস্থা দৃশ্যমান, সিলেটের এর কিছু না। এরপরও সাময়িক ভোগান্তি হলেও ফল আসবে দীর্ঘ মেয়াদী।
চলতি বর্ষায় সিলেট নগরীতে উন্নয়ন কাজ চলছে। এতে করে নগরবাসী ভোগান্তিতে রয়েছে। এই অবস্থায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে টার্গেট করে বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন- উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে অপরিকল্পিতভাবে নগরের প্রায় প্রতিটি রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়িতে নগরবাসীর জীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

প্রায় ৪-৫ মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক খোঁড়া হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে নগরবাসীর চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। চেম্বার প্রশাসক বলেন- সিলেটের ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, জেলরোডসহ আশপাশের এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি এবং নির্মাণসামগ্রী রাখায় অর্ধেকের বেশি রাস্তাই ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। এতে একদিকে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট, আরেকদিকে ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তিনি বলেন- চলমান কাজগুলো ঠিকাদাররা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে কোনো দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন- সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানটি যেন দিন দিন জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানের বদলে স্বেচ্ছাচারী ও একক আধিপত্যের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।

সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব, ছলে বলে কৌশলে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। তিনি আগামী একমাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী এবং যে সমস্ত বাসা-বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙা হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া জনদুর্ভোগ এড়াতে জনবহুল এলাকাগুলোতে একই সঙ্গে একাধিক উন্নয়ন কাজ পরিচালনা না করার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন- নগরীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে বর্ষা মৌসুমে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নির্বাচনসহ যাবতীয় কাজ গুছিয়ে নেয়া যেতে পারে। এতে পরবর্তী বর্ষার আগে সেসব কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ফলে কাজের মানও ভালো হবে এবং অপচয়ও কম হবে। শুধু ভাঙ্গা-গড়া নয়, নাগরিক সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন তিনি। তার এই বিবৃতির পর পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন- যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন রাস্তাঘাট সমপ্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলায় সাময়িক কিছুটা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, নগরবাসীর সহযোগিতায় ছড়া-খাল উদ্ধার ও সংস্কার কাজ করতে পারায় নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে এসেছে।

যানজট নিরসনের জন্য নগরবাসী তাদের মূল্যবান জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ সমাপ্ত হলে যানজটের অভিশাপমুক্ত হবে সিলেট নগরী। গতকাল এক বিবৃতিতে মেয়র আরিফ বলেন, পর্যটকবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে সিটি করপোরেশন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এই বর্ষা মৌসুমেও রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রাখা হয়েছে। এতে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর নগরবাসী তাদের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একটি মহল দেখেও না দেখার ভান করছেন। বুঝেও না বুঝার ভান করে আছেন তারা। মূলত এই মহলটি সিলেটের উন্নয়নই চান না। নগরবাসীর কষ্ট, দুঃখ-দুর্দশা তাদের মনে দাগ কাটে না। তাই তারা বিভিন্ন অজুহাতে নগরীর চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার নানা ষড়যন্ত্র করছেন। মেয়র আরিফ উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসীকে সাময়িক অসুবিধায় ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর