× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাইকোর্টে প্রতিবেদন /১১ কোম্পানির দুধে সিসা ও ক্যাডমিয়াম

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার

বিএসটিআই অনুমোদিত ১১ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের পরীক্ষায় অতিরিক্ত মাত্রায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সিসা ও ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ওই সব কোম্পানিগুলো হলো- মিল্ক ভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ঈগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং, প্রাণ মিল্ক, আইরান, পিউরা ও সেফ ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধ। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে বিএসটিআই’র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান (মামুন) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত, পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যানিমেল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা বিতরণ করতে পারবে না। কোনো খামারি বা কেউ  প্রেসক্রিপশন ছাড়া গবাদিপশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে পারবে না।
একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী ক্ষতিকারক উপাদান থাকা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা আগামী ২৮শে জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, জনস্বার্থে দুধের দূষণ পরীক্ষা ও গবেষণায় বিএসটিআই নিবন্ধিত দুধ কোম্পানিগুলোকে একটি তহবিল গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে একটি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিএসটিআই এবং দুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিএসটিআই ২০০২ সালে পাস্তুরিত দুধের যে মান নির্ধারণ করেছিল তার ভিত্তিতেই বাজারে থাকা দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বা ডিটারজেন্টের উপস্থিতি সেখানে পরীক্ষা করা হয়নি। এছাড়া, আদালত দুগ্ধ খামারিদের পশু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গাভীকে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়া, ক্ষতিকারক উপাদান থাকা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং নিবন্ধিত দুধ কোম্পানিগুলোকে একটি তহবিল গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে একটি রুল জারি করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান। পরে আদালত দুধে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। রুলে দুগ্ধজাত খাবারে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্কিয়তা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) নির্দেশ দেয়া হবে না কেন- তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া, ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য পণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক এবং সিসা মেশানো রয়েছে- তা নিরূপণ করার জন্য একটি জরিপ শেষে প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর