× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কিন পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে ট্রাম্পের বর্ণবাদী মন্তব্যের নিন্দা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৭, ২০১৯, বুধবার, ১:৩২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের চার নারী কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটের প্রতি নিন্দা জানাতে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। মঙ্গলবার আয়োজিত ওই ভোটে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে ভোট দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। সকল ডেমোক্র্যাট সদস্যের পাশাপাশি ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকানের একাধিক সদস্যও তার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একাধিক পোস্টের মাধ্যমে বিদেশি বংশোদ্ভূত চার ডেমোক্র্যাট নারী কংগ্রেস সদস্যকে দেশ ছাড়তে বলেন ট্রাম্প। তিনি সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও তার টুইটে ¯পষ্ট বোঝা যায় যে, ওই সদস্যরা হচ্ছেন, আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমার, রাশিদা তালিব ও আয়ানা প্রেজলি। স্থানীয় সময় সোমবার ধারাবাহিক তিনটি টুইটে ট্রাম্প বলেন, যেসব নারীরা আদতে এমন সব দেশ থেকে এসেছে যেদেশের সরকার সম্পূর্ণর”পে ব্যর্থ, তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিৎ। ডেমোক্র্যাট নেত্রী ও প্রতিনিধি পরিষদের ¯িপকার ন্যান্সি পেলোসি তাদের দ্রুত যাবার ব্যবস্থা করে দিতে খুশি হবে। তার টুইটের এক সপ্তাহ আগে পেলোসির সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক একটি বিল নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় ওই চার কংগ্রেস সদস্যদের।

তার ওই টুইট নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
দেশজুড়ে সমালোচিত হন তিনি। প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের পর এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, আমার শরীরের বর্ণবাদের একটি হাড়ও নেই। ভোটে ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দেন ২৪০ জন। আর পক্ষে ভোট দেন ১৪৭ জন।
ভোটের আগে ডেমোক্র্যাট নেতা জন লুইস বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। তবে ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রিপাবলিকান নেতা ড্যান মিউজার বলেন, এইসব অভিযোগ হাস্যকর।

এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে রেজুলিউশন পাসের পরপরই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তাব দেন টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট নেতা আল গ্রিন। তবে তার প্রস্তাবে সায় দেননি বাকি ডেমোক্র্যাটরা।
এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্য-বিরোধী রেজুলিউশনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রতিটি ধাপ সংজ্ঞায়িত হয়েছে অভিবাসনের মাধ্যমে। কেবল আদিবাসী ও দাসত্বের শিকার হওয়া আফ্রিকান-আমেরিকান ছাড়া প্রত্যেক আমেরিকানই অভিবাসী বা অভিবাসীদের বংশধর।
রেজুলুশনে আরো বলা হয়, জাত বা বর্ণ দিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশ পায় না। দেশের সাংবিধানিক আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর