কাতার বিশ্বকাপের মূল বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপে পরেছে বাংলাদেশ। দুপুরে মালয়েশিয়ার রাজধানী অনুষ্ঠিত ড্র’হয়। সেখানে ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য চার প্রতিপক্ষ হলো ওমান, আফগানিস্তান ভারত ও স্বাগতিক কাতার।
গত রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, কিরাগিজস্তান ও তাজিকিস্তান। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ ৮ ম্যাচ খেলে কোনো জয় পাইনি। একটি ড্র নিয়ে ৫ দেশের মধ্যে হয়েছিল পঞ্চম। ৩২ গোল হজম করে দিতে পেরেছিল মাত্র ২ টি।

‘এ’ গ্রুপে পরেছে চীন, সিরিয়া, ফিলিপাইন, মালদ্বীপ ও গুয়াম। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, চাইনীজ তাইপে, কুয়েত ও নেপাল। ‘সি’ গ্রুপে ইরান, ইরাক, বাহারাইন, হংকং ও কম্বোডিয়া। ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে সৌদি আরব, উজবেকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমান, ও সিংগাপুর।  গ্রুপ ‘এফ’ রয়েছে জাপান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, মায়ানমার ও মঙ্গোলিয়া। ‘জি’ গ্রুপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এবং ‘এইচ’ গ্রুপে পরেছে দক্ষিণ কোরিয়া, লেবানন, উত্তর কোরিয়া. তুর্কেমিনিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।   

ড্র’তে বাছাই পর্বের ৪০ দেশকে রাখা হয়েছিল ৫ পটে। পাঁচ নম্বর পটে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, গুয়াম ও শ্রীলঙ্কা । প্রতি পটের দেশগুলো লটারির মধ্যে পড়ে ৮ টি গ্রুপে। ১ নম্বর পটে ছিল এশিয়ার শীর্ষ বাছাই ইরান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও চীন। ২ নম্বর পটে ইরাক, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ওমান, লেবান, ভিয়েতনাম, কিরগিজস্তান ও জর্ডান। ৩ নম্বর পটে ছিল ফিলিস্তিন, ভারত, বাহরাইন, থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে ও ফিলিপাইন এবং চার নম্বর পটে তুর্কমেনিস্তান, মিয়ানমার, হংকং, ইয়েমেন, আফগাস্তিান, মালদ্বীপ, কুয়েত ও মালয়েশিয়া। এক থেকে চার নম্বর- প্রতিটি পটের একটি করে দল পড়ে বাংলাদেশের গ্রুপে।

এই বাছাই পর্বটা শুধু বিশ্বকাপেরই নয়, এএফসি এশিয়া কাপেরও। তাই বিশ্বকাপের দৌড় থামলেও দলগুলোর থাকবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সুযোগ। তাই এখান থেকেই বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দৌড় শুরু করতে যাচ্ছে এশিয়ার শীর্ষ ৪০ দেশ।