আদালতে হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লার আদালতের এজলাসে হত্যাকাণ্ডের পর বিচারকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত চেয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে আজ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, কুমিল্লার পর মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট বারেও ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় কোর্টে আইনজীবী, জাজ ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য কী পদক্ষেপ নিলেন। তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, কুমিল্লা ও সুপ্রিমকোর্ট বারের দুটি ঘটনাই ব্যক্তিগত। এ সময় আদালত বলেন, ব্যক্তিগত হোক, আর যাই হোক, কোর্টের ভেতরে ছুরি নিয়ে কীভাবে যায়? পুলিশ কী করে? ডেফিনেটলি এটি পুলিশের নেগলিজেন্স।
আদালত ৩০শে জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা এবং কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। সে পর্যন্ত রিট আবেদনটি মুলতবি রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত জাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।।