× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন /ভোটারদের আস্থা রফিকুল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
১৮ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আগামী ২৫শে জুলাই অনুষ্ঠিতব্য কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরব পৌরাঞ্চল। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মিছিল আর উঠান বৈঠক। মেয়র কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌরসভার প্রতিটি অলিগলি। কে হচ্ছেন আগামীর পৌর পিতা সেটা নিয়ে চলছে ভোটারদের চুলচেরা হিসাবনিকাশ। তবে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তার ওপর আস্থা রাখছেন কাঞ্চন পৌরসভার ভোটাররা।

জানা যায়, এ ধাপে সম্পূর্ণ ইভিএম পদ্ধতিতে সারা দেশে একটি মাত্র পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে কাঞ্চন পৌরসভায়। এ কারণে ইভিএম পদ্ধতিতে আগামী স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি নির্বাচনে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো ৩১ প্রার্থী। ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মাঝে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। তার অন্যতম কারণ আওয়ামী লীগ হতে তিনি একমাত্র প্রার্থী। বিএনপি এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো প্রার্থী প্রদান না করলেও বাকি ৩ প্রার্থীই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র ও কাঞ্চন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা, সাবেক মেয়র ও কাঞ্চন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান ভূইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন।

ভোটাররা জানান, চলতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত ৫ বছর রফিকুল ইসলাম কাঞ্চন পৌরাঞ্চলের অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন। পৌরবাসীর সুখে-দুখে সবসময় পাশে ছিলেন তিনি। পৌরসভার ৮৮টি মসজিদের উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের জন্য দুইশ’ সাব মারসিবল পানির পাম্প স্থাপন, আড়াইশ’ অসচ্ছল পরিবারকে ঘর নির্মাণ ও ৫ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানসহ নিজস্ব অর্থায়নে শতাধিক যুবককে প্রবাসে পাঠিয়েছেন। পৌরসভার এক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাব্যয় ও ১ হাজার নাগরিককে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা ব্যয় নিয়মিত বহন করছেন। দরিদ্রদের রিকশা ও সেলাইমেশিন প্রদান ও পৌরাঞ্চলে ফ্রিতে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কারণে তিনি রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। রফিকুল ইসলাম রফিককে সাধারণ মানুষ মেয়র হিসেবে পেতে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি পৌরসভার পাড়া মহল্লায় ভোটের জন্য তার স্বপক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চন ইউনিয়ন পরিষদকে ২০০৩ সালে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়। সে হিসেবে এ পৌরসভায় যেটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা সে পরিমাণ উন্নয়ন হয়নি বিগত ১৭ বছরে। ছোঁয়া কাঞ্চন পৌরসভায় লাগেনি। পারিবারিক শাসনে বন্দি পৌরজনকের পদটি পরিবারতন্ত্র থেকে অবমুক্ত করতে ভোটাররা এবার আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিকে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যাশা করছেন। জনমতেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে কাঞ্চন পৌর বিএনপির ৫ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে আমরা দুই পরিবারের কাছে জিম্মি ছিলাম। ভালো কোনো প্রার্থী পাইনি। সে কারণে দুটি পরিবারের লোকজন আমাদের এলাকায় ৬৫ বছর যাবত আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এ কারণে আমাদের এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখন আমাদের এলাকার মানুষ সচেতন হয়েছে। আমরা এলাকার উন্নয়ন চায়। এ বছর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য আমরা রফিকুল ইসলামকে দলমতের ঊর্ধ্বে মেয়র হিসেবে চাই। কারণ তার মধ্যে মানুষের সেবা, এলাকার উন্নয়ন করার মনোভাব রয়েছে।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সে হিসেবে বিগত সময়ে আমাদের পৌরসভার কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি কাঞ্চন পৌরসভার যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে উপহার দিবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর