× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইইউ কমিশনে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট উরসুলা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৮, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন

 ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপিয়ান কমিশন প্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন। মঙ্গলবার স্বল্প ভোটের ব্যবধানে কমিশনটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এই পদে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রথম নারীও তিনি। তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আগামী পহেলা নভেম্বরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারের স্থলাভিষিক্ত হবেন উরসুলা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভোটে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের ভোট নিশ্চিত করেন তিনি। তার পক্ষে ভোট পড়ে ৩৮৩টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩২৭টি। ইইউ পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যা ৭৫১ জন।
তবে মঙ্গলবার চার জন ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন। জয়ের জন্য তার প্রয়োজন ছিল ৩৭৪ ভোট। উল্লেখ্য, ইইউ আইনের খসড়া তৈরি, আইন প্রয়োগ করা ও সদস্য দেশগুলোর ওপর প্রয়োজনে জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।
নির্বাচনে জয়লাভের পর উরসুলা পার্লামেন্টের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমার ওপর ভরসা করার মাধ্যমে ইউরোপের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন। পূর্ব থেকে পশ্চিমে, দক্ষিণ থেকে উত্তরে, একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের প্রতি আপনাদের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। এটা বেশ বড় একটি দায়িত্ব। আমার কাজ এখনই শুরু হলো। চলুন, আমরা একসঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করি।
ভন ডার লিয়েন উরসুলা:উরসুলার জন্ম বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। তিনি সাত সন্তানের জননী। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে একজন গাইনোকলোজিস্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেশ সমালোচিত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এই নারী। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সরঞ্জাম ঘাটতি প্রকট হয়েছে। অনেকের দাবি, এর পেছনে দায়ী তার ব্যবস্থাপনার ধরন। তিনি সমাজকল্যাণ, দারিদ্র্যতাদূরীকরণ ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে ইইউকে আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অভিবাসন ইস্যুতে তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে ইইউ সীমান্তগুলোতে নিরাপত্তা কড়া করবেন তিনি। তবে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া বেকারদের জন্য জাতীয় ইনস্যুরেন্স পরিকল্পনা জোরদার করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
এদিকে, বিবিসি’র ইউরোপ প্রতিনিধি ডামিয়ান গ্রামাটিকাস জানান, উরসুলার জয় নিশ্চিত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন ইইউ নেতারা। তার মনোনয়ন নিয়ে বেশ জটিলতার শিকার হতে হয়েছিল তাদের। এই পদে মূলত ৩ জন ছিলেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু তাদের কাউকে নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় অনেকটা আকস্মিকভাবেই উঠে আসে লিয়েনের নাম। খোদ জার্মান জোটের মধ্যেই তার মনোনয়ন নিয়ে বিরোধিতা ছিল অনেকের। গ্রিন পার্টি জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থীদের জীবন বাঁচানোর ইস্যুতে তার প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত দুর্বল। গ্রিনরা তাকে ভোট দেয়নি। এদিকে, সোস্যালিস্টদের ভোটও পাননি মার্কেলের এই সহযোগী। সমর্থন জোরালো না থাকায় কমিশনের প্রধান হিসেবে বিল পাস করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন উরসুলা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর