× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

খুলনা বিভাগে জুলাই মাসে ২০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মহেশপুর থানার বাসিন্দা এএসআই আছাদ (৩৩) ১৫ই জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা খুলনার বাইরে অবস্থানকালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
আক্রান্তরা খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, যশোরের কেশবপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, গাজী মেডিকেল হাসপাতালে তিনজন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে দু’জন ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে একজনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এ অবস্থায় বিভাগীয় পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগের তথ্য সংরক্ষণের জন্য সেল খোলা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে গত মঙ্গলবার এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘খুলনায় কোনো ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই। যারাই আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের হিস্ট্রি থেকে জানা যায়, বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।’ খুলনা সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু টেস্টের ব্যবস্থা নেই বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে। বেসরকারি হাসপাতালে টেস্টের ব্যবস্থা থাকলেও টেস্টের ফি বেশি। টেস্টের জন্য ১১শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা প্রয়োজন হয়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সূত্র মতে, খুলনা বিভাগের মধ্যে ২০ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ই জুলাই ঝিনাইদহ মহেশপুর এলাকার বাসিন্দা বদরুল ইসলামের ছেলে এএসআই আছাদ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। এছাড়া খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেল আহমেদ, মিসেস ইসলাম লিপি ও মোস্তফা কামালকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরা সবাই খুলনা সদর ও দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ঢাকায় অবস্থানকালে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে চিকিৎসকদের ধারণা। গাজী মেডিকেল হাসপাতালে যাদের চিকিৎসা দেয়া হয়, তারা হলেন- মো. আবদুস ছাত্তার (৬০), রাকিবুল ইসলাম (৪২) ও মো. আবু সালেহ (২৫)। এদের মধ্যে ছাত্তার কেশবপুরের, রাকিবুল নড়াইলের ও আবু সালেহ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বাসিন্দা। আবু সালেহ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন; বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন- মো. কাওছার (৫৬) ও ইসমাইল হোসেন (২৫)। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে যে ১১ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে আটজন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন আছেন। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ ডেঙ্গু আক্রান্তরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সহকারী পরিচালক ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘৩রা জুলাই বিভাগীয় পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগের তথ্য সংরক্ষণের জন্য সেল খোলা হয়েছে। আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের ডেঙ্গু সেল গঠন করা হয়েছে। খুলনায় যারা ডেঙ্গু জ্বরে চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা সবাই অন্য জায়গা থেকে এই জীবাণু শরীরের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি রোগীর হিস্ট্রি থেকে জানা যায়।’ ডা. ফেরদৌসী আক্তার আরো বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্তদের সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত ও অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। রোগীকে কোনো ধরনের এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না।’ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এই চিকিৎসক বলেন, ‘খুলনা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টের ব্যবস্থা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালগুলো আমাকে নিশ্চিত করেছে। খুব শিগগিরই সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই টেস্ট চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর