লোহাগড়ায় ছাত্রকে শালীনভাবে চুল ছেঁটে ক্লাসে আসতে বলায় অভিভাবকের হাতে অধ্যক্ষসহ এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরাও শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ইতনা স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রোমিজ শিকদার অশালীনভাবে চুল ছেঁটে ক্লাসে আসে। শিক্ষকরা তাকে গত কয়েকদিন ধরে শালীনভাবে চুল ছেঁটে ক্লাসে আসতে অনুরোধ করে। কিন্তু রোমিজ শিক্ষকদের কথা কর্ণপাত না করে একইভাবে ক্লাসে আসে। মঙ্গলবার শ্রেণি শিক্ষক পিকুল শিকদার ওই ছাত্রকে শিক্ষক কাউন্সিলে নিয়ে যায়। তখন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মদন মোহন ভদ্র তাকে ৩০ টাকা দিয়ে সেলুনে যেয়ে চুল ছেঁটে আসতে বলেন।
রোমিজ বাইরে গিয়ে দুলাভাই ও সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সদস্য ইতনা গ্রামের ওমর সরদারের ছেলে সুমন সরদার এবং মান্নু সরদারের ছেলে রাকাতুল ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শ্রেণি শিক্ষক পিকুল শিকদারকে লাঞ্ছিত করে। এ সময় অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী কথা বলতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে তারা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে সৃষ্ট ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।এ ব্যাপারে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিষয়টি জিবি সদস্যদের জানানো হয়েছে এবং ওই ছাত্রকে টিসি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বাসুদেব ব্যানার্জি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে পুলিশ সদস্য সুমন সরদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।