আড়াইহাজারে স্থানীয় ফতেপুর ইউপির চৌথার আখরপাড়ায় শাহ আলমকে (৩২) হত্যার ঘটনায় একই পরিবারের ৬ সদস্যের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী সুমী আক্তার তার বাবা আলাউদ্দিন, দুইবোন সেলিনা বেগম ও শিরিনা বেগম তার সহোদর শফিকুল এবং নবী হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। আলাউদ্দিন ওই এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত শাহ আলম রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতেন। এর আগে গত মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির পাশেই একটি ধৈইঞ্চা ক্ষেতে লাশ পড়ে থাকাবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় ব্রাহ্মনন্দী ইউপির মারুয়াদী এলাকার মৃত আম্বর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ শ্বশুরবাড়িতে জমাকৃত টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের শ্যালিকা শিরিনা আক্তারের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজ। মামলায় উল্লিখিত বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ৪ বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবেন ৩ বছরের এক সন্তান রয়েছে। শাহ আলমের বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বিদেশ যাওয়ার খরচ বাবদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা তার শ্বশুরবাড়িতে রাখা ছিল। জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলেই তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বাদী মামলার একাংশে আরো উল্লেখ করেন, টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে ১৫ই জুলাই বিকালে নিহতের স্ত্রী ও তার শ্বশুরবাড়ির অন্যসদস্যরা তাকে মোবাইলে ডেকে নেন।
এরই জেরে রাতের যেকোনো সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের মা’র দেয়া লিখিত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।