বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলো- বামনা উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের মো. আবদুল্লাহর পুত্র মো. সোহাগ (১৬), মো. আলী হোসেন হাওলাদারের পুত্র মো. নাসির চৌকিদার (৩৫), মো. মোক্তার আলী হাওলাদারের পুত্র মো. আনসার আলী হাওলাদার (৪২) এবং অযোধ্যা গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পুত্র মো. দুলাল চৌধুরী (৪০)।
মামলা ও ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত সোহাগ। পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন মেয়েটির চেঁচামেচি শুনে তাকে উদ্ধার করতে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পার্শ্ববর্তী ঘরের রাশেদা বেগম জানায়, মেয়েটির চেঁচামেচিতে তারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। মেয়েটির ঘরের কাছে গেলে তারা জানালা দিয়ে অভিযুক্ত সোহাগকে মেয়েটির বিছানায় তার ওপর জোরজবরদস্তি করতে দেখতে পেলে তারা প্রতিবাদ করে। পরে অভিযুক্তরা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানায়, ঘটনা ঘটার পরে সোহাগের পিতা মো. আবদুল্লাহ নিজের একটি গরু বিক্রি করে বিশ হাজার টাকা স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. নাসির চৌকিদার, প্রতিবেশী মো. আনসার আলী ও দুলাল চৌধুরীর কাছে দেয়। তারা ওই টাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
তবে ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারকে কোনো টাকা পয়সা না দিয়ে তারাই সব টাকা আত্মসাৎ করে। ভুক্তভোগী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর পিতা জানান, তার সংসার চলে ভিক্ষা করে। ঘটনার দিন সে ও তার স্ত্রী সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ভিক্ষা করার উদ্দেশ্যে। বিকালে বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি শুনতে পান। মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিধায় মেয়েটি তার ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সঠিকভাবে বলতে পারছে না। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কিশোরীর কাছে জানতে চাইলে সে অস্পষ্টভাবে জানায়, কালু (সোহাগ) তাকে চেপে ধরেছে। এর বেশি সে জানাতে পারেনি। বামনা থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি।