হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক খণ্ড জমির জন্য ভাতিজাকে ঢাকায় নিয়ে খুন করে নদীতে লাশ ফেলে দেন বিজিবি সদস্য চাচা সাদেক। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দুলা মিয়ার লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফনও করা হয়। পরে এক কিশোরের তোলা মাইক্রোবাসের একটি ছবির উপর ভিত্তি করে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। গতকাল দুুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এক কিশোরের তোলা মাইক্রোবাসের ছবির উপর ভিত্তি করেই আমরা প্রথমে হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাই। পরে এর সূত্র ধরে অনেক চেষ্টার পর মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
জবানবন্দিতে তারা হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। নিহত দুলা মিয়া জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পাট্টাশরিফ গ্রামের বাসিন্দা। উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুন অপহরণ হন দুলা মিয়া। ১৯শে জুন এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার ভাই ইদু মিয়া। ১৮ই জুন তার মরদেহ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।