× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমিল্লায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৮ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫। বুধবার ঘোষিত ফলাফলে এ বোর্ডের সম্মিলিত পাসের হার ৭৭.৭৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ জন। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৫.৪২ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯৪৪ জন। এবার বোর্ডের আওতাধীন ৬টি জেলার ৩৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। এ ছাড়া জেলাওয়ারি ফলাফল বিশ্লেষণে এ বোর্ডের অধীন জেলাগুলোর মধ্যে ৮৬.৮৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে চাঁদপুর জেলা শীর্ষ অবস্থানে এবং ৮২.৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীসহ ৬টি জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৯৪ হাজার ৩৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭৩ হাজার ৩৫৮ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮.৬৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৬.৯৮ ও মানবিকে পাসের হার ৭২.৩৫ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ জন।
এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৮৯৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ২২৮ জন ও মানবিকে ২৪৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অপরদিকে গড় পাসের দিক থেকে মেয়েরা কিছুটা এগিয়ে আছে। ছেলেদের গড় পাসের হার ৭৭.১২ এবং মেয়েদের ৭৮.২৭ শতাংশ। এ বছর এ বোর্ডের অধীন ৬টি জেলার ৩৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নোয়াখালীর ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৭ হাজার ৩৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩ হাজার ৩৮ জন। এ জেলায় পাসের হার ৭৫.২১ শতাংশ। ফেনীর ৪১টি কলেজ থেকে ৯ হাজার ৮৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ২৬৮ জন, এ জেলায় পাসের হার ৬৩.৫১ শতাংশ। লক্ষ্মীপুরের ৩৪টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৭৩৪ জন। এ জেলায় পাসের হার ৬৮.৮১ শতাংশ। চাঁদপুরের ৬২টি কলেজ থেকে ১৪ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২ হাজার ৪৭৪ জন এবং এ জেলায় পাসের হার ৮৬.৮৭ শতাংশ। কুমিল্লার ১৫০টি কলেজ থেকে ৩১ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৫ হাজার ৭৬১ জন। এ জেলায় পাসের হার ৮২.৯০ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫৪টি কলেজ থেকে ১৩ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০ হাজার ৮৩ জন এবং এ জেলায় পাসের হার ৭৫.৩১ শতাংশ।

ফলাফলে বোর্ডের অধীন ৩৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টি থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এরমধ্যে ২০টি কলেজই কুমিল্লার। শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে (ক্রমিক অনুযায়ী) কুমিল্লার দাউদকান্দির জুরানপুর আদর্শ কলেজ, বুড়িচংয়ের সোনার বাংলা কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়ার পারুয়ারা আবদুল মতিন খসরু কলেজ, মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালীর চাটখিল মহিলা কলেজ, চাঁদপুরের আশেক আলী খান হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার বরুড়া আগানগর আদর্শ কলেজ, নোয়াখালীর চাটখিল আবদুল ওয়াহাব কলেজ, চাঁদপুরের কচুয়ার ড. মনসুরুদ্দিন মহিলা কলেজ, কুমিল্লার লাকসামের মুদাফ্‌ফরগঞ্জ এ.এন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার বরুড়ার ছোট তুলাগাঁও মহিলা কলেজ, চাঁদপুরের কচুয়ার চাঁদপুর এমএ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আবদুল মতিন খসরু মহিলা কলেজ, গোপালনগর আদর্শ কলেজ, ফেনীর পরশুরাম আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ডা. যোবায়দা হান্নান হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লার দেবিদ্বার গঙ্গামণ্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) দ্য কার্টার একাডেমি, কুমিল্লার দাউদকান্দির বেগম রাবেয়া গার্লস কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাহাবাদ কলেজ, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) জীবগাঁও জেনারেল হক হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা তিতাসের ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশিদ গার্লস কলেজ, চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজ, ধর্মপুর নাজিম আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়ার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ দেওয়ান কলেজ, সদর দক্ষিণের সিসিএন মডেল কলেজ ও লক্ষ্মীপুর ক্যামব্রিজ সিটি কলেজ।
এ বোর্ডের অধীন ৩টি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থীদের কেউ পাস করেনি। এ ৩টি কলেজের মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দির ভজরা এসইএসডিপি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬ জন, নোয়াখালীর হাজারীহাট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৩ জন এবং একই জেলার তামারাদ্দি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সকলেই ফেল করেছে।    
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এবং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এ বছর ভালো ফলাফল হয়েছে। আগামীতে আরো ভালো ফলাফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর