মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন কিনা, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের চতুর্থ দিনের চতুর্থ কার্য অধিবেশনে ডিসিদের প্রতি এ দুই নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। নিজের অধিবেশন শেষে বাইরে বেরিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ডিসিদের ভেজাল খাদ্য বিক্রয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় বন্ধে কঠোর হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটা মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরো জোরদার করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে সার্বিকভাবে ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সক্রিয় থেকে দায়িত্ব পালন করবেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তারা আশ্বস্ত করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিসিদের বললাম যে আপনারা নিয়মিত মিটিং করবেন। স্বাস্থ্য রিলেটেড যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, জেলা, উপজেলা হাসপাতলে মিটিং করবেন। সেসব জায়গায় যাবেন, পরিদর্শন করবেন। সেসব হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি লক্ষ্য রাখবেন। রোগীরা যাতে ভালো সেবা পান- এ বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে ক্যান্সার ও হার্টের রোগ অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণগুলো ডিসিদের বললাম। এর একটি কারণ হলো- ভেজাল খাবার। এদিকে নজর রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করা যাবে না। ইটের ভাটার ধোঁয়া যাতে বায়ু দূষণ করতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এর ফলে ক্যান্সার ও স্ট্রোক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।