দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের দুই ভাইকে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ই অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন ।
এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে যান স্বজন পরিবহন। আজ বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এই আদেশের ফলে রাজীবের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় আপাতত বহাল রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।
আদালতে এদিন স্বজন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান।
গত ২৩ শে জুন রাজীবের দুই ভাইকে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুই মাসের মধ্যে রাজীবের দুই ভাইকে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২৫ লাখ টাকা করে ৫০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে চিপায় পড়ে এক হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। চিকিৎসাধীন ওই বছরের ১৬ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস।