× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

অনলাইন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৮, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে রাস্তায় পানি উঠায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর-ধুনট সড়ক যোগাযোগ কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

যমুনা নদীবেষ্টিত কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের অন্তত সাড়ে ৯০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমি ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২১ হাজার পরিবার।

এদিকে, যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে কাজীপুরে উপজেলা পরিষদের নির্মিত রিং বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসের পর থেকে নতুন নতুন এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে মানুষ গবাদি পশু আর আসবাপত্র নিয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। বাঁধের উপর ঝুপড়ি ঘর তুলে কোনমতে রাত যাপন করছেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাজীপুর আসনের সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয়।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) হাবিবুল হক বলেন, জেলার প্রায় ৬৪০০ হেক্টর জমির পাট, রোপা আমন, আউশ ও সবজির ক্ষেতে পানি ওঠেছে। তবে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, যমুনার পানি বাড়ার কারণে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ পর্যন্ত ৫টি উপজেলার ৯৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ৫৫২ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের বিতরণের জন্য ৪৯৪ টন চাল ও ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে হলে এগুলো বিতরণ করা হবে।

কাজীপুর আসনের সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় বলেন, বাঁধ ভাঙার কারণে অতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সব সময় নজর রাখছি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়ায় পাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নয়। এটি কাজীপুর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই মুহুর্তে সেটি মেরামত করা সম্ভব না। আমাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখন পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। কোন সমস্যা নেই।

কাজীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, পানি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি মেরামত করা হবে। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর