× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওয়াসায় দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করেছে দুদক

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) জুলাই ১৮, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশও করা হেয়ছে। এ সংক্রান্ত দুদকের একটি প্রতিবেদনে ওয়াসার দুর্নীতির খাত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয় ঢাকা ওয়াসায়। এছাড়া ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি, রাজনৈতিক পরিচয় এবং কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেন এই প্রতিষ্ঠানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব অনিয়মে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন।
আজ সচিবালয়ে প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে তুলে দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি এখনো পানযোগ্য নয়। ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পে কালক্ষেপণের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।
কাজের চেয়ে বেশি টাকা দেয়া হয়েছে প্রকল্পের ঠিকাদারদের। কাজের মান ও পরিসর বিবেচনা করে ওয়াসা যদি টাকা ছাড় দিতো তাহলে ভালো ফল পাওয়া যেত। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। এখানে ওয়াসার সংশ্লিতা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে ওয়াসায় দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত করে প্রকল্পকাজে দুর্নীতির আটটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের নকশা ও স্পেসিফিকেশন বাদ দিয়েই নিজেদের মতো করে কাজ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে ঢাকাসহ বৃহত্তর মিরপুর এলাকার পানির চাহিদা পূরণে মিরপুরের ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। এই প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২২শে নভেম্বর অনুমোদন হয়। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী সরকারের ১৪২ কোটি, ওয়াসার ১০ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ৩৬৯ কোটি টাকাসহ মোট ৫২১ কোটি টাকার প্রকল্প ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের ২৯শে মার্চের সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় ৫৭৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়, এর মধ্যে সরকারের ২০০ কোটি ৫ লাখ, ওয়াসার ১০ কোটি, প্রকল্প সাহায্য ৩৬২ কোটি ৯৫ লাখ। অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় ৫২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর