বিগত অর্থবছর ২০১৬-১৮ইং সালের অধিকাংশ রাস্তার পাশের সদ্য নির্মিত ব্লক সরে গিয়ে চলাচলের রাস্তায় ভাঙন ধরেছে। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর অতি বর্ষার পানিতে যেকোনো সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, এসব কাজ ২০১৬-১৭-১৮ অর্থবছরের অষ্টগ্রাম উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশলী কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মুর্শেদ জানান, বিষয়টি সরজমিন দেখে জেলা প্রকৌশলীকে অবগত করেছেন। তবে তৎক্ষণাৎ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্লক সরে গিয়ে রাস্তার ভাঙা মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক রয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের অধিক। এসব সড়কের রাস্তার পাশের ব্লক সরে যাওয়ায় ভেতরের বালু ধসে পানির সঙ্গে মিশে যায়।
এতে চলাচলের রাস্তাটি শূন্যের মাঝে ভেসে থাকে। যেকোনো সময় রাস্তাটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিছু কিছু সড়কে যান চলাচল নিষিদ্ধ করে বাঁশ দিয়ে পথ রোধ করা হয়। কিছুদিন আগে নবনির্মিত উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের চারপাশে ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা হলে সেটিও ভেঙে গিয়ে মাটি সরে যাচ্ছে। এরকম দেওঘর, সাভিয়ানগর থেকে আলীনগর, দেওঘর, বাঙ্গালপাড়া, কাস্তুল, ব্রহ্মপুরা, বাহাদুরপুর, পূর্ব-অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন সহ অসংখ্য রাস্তা রয়েছে। ভাঙনের কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, ঠিকাদারের অরাজকতা ও তদারকির ত্রুটি আর নিম্নমানের কাজ হওয়াতে বছর যেতে না যেতেই রাস্তার এই বেহাল দশা। অষ্টগ্রামে নিম্নমানের কাজের এমন বেহাল চিত্র দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসলেও সেটি দেখার বা প্রতিবাদ করার কেউ নেই। গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস, ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমাছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ভেঙে যাওয়া রাস্তা সরজমিন দেখতে গিয়ে যোগাযোগের নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।