× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আঞ্চলিক মহাসড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

বাংলারজমিন

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

 লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বর্তমানে বেহাল দশা। সংস্কার কাজের ধীর গতি আর বৃষ্টিতে কাদা জমে ও খানাখন্দে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গতকাল স্থানীয়রা সড়কের দুইপাশে ধানের চারা রোপণের মধ্যে দিয়ে ঠিকাদারের কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। কয়েকজন পথচারী ও গাড়িচালক জানান, গর্ত  আর কাদায় প্রায় সময় গাড়ি আটকে যায়। অনেক সময় গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। এতে অনেক যাত্রী আহতও হয়েছে। যাত্রীরা এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছারিতা ও প্রশাসনের নজরদারী না থাকাকে দায়ী করেন।
ওই সড়কের যাত্রী কলেজছাত্র শোভন ও রাছেল জানান, সড়ক সংস্কার হয় মানুষের দুর্ভোগ কমনোর জন্য কিন্তু এই সড়কের সংস্কারই আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন জেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়কটিতে পুরাতন কার্পেটিং তুলে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় এটি এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আঞ্চলিক এই মহাসড়কটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় বর্ষার শুরুতেই বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সামান্য বৃষ্টিতে জমে যায় কাদা। সরে যাচ্ছে দুই পাশের ফুটপাথের মাটি। ফলে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে তিনগুণ বেশি সময় লাগছে। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুুরের মজু চৌধুরীর ফেরিঘাট ও চাঁদপুরের হরিণাঘাট দিয়ে এই রুটে প্রতিদিন চলাচল করে শরিয়তপুর, খুলনা, বাগের হাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, যশোর ও ভোলার যাত্রীরা। তাছাড়া স্থানীয় কয়েক শ’ গাড়ি প্রতিদিন যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের ২০ কি.মি সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য ৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ধীর গতিতে কাজ করায় নির্দিষ্ট সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্স। ইতিমধ্যে তারা লেয়ার ড্যামেজের অজুহাতে সড়ক বিভাগের মাধ্যমে আরো ৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়েছেন। এখন নির্মাণের  মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ দিকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্সের ঠিকাদার আজিজুল করিম বাচ্চু মোবাইল ফোনে জানান, বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে ও অনবরত বৃষ্টির কারণে সড়ক সংস্কারে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। তাই কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সহসাই এই সমস্যার সমাধান হবে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত মোবাইল ফোনে জানান, বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর