ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে অর্থের বিনিময়ে নীতিমালাবহির্ভূত ছাত্রভর্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন মহল ও দুর্নীতি বিরোধী অভিভাবকবৃন্দ। গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানের শাস্তির দাবিতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অভিভাবকদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন, বশির উদ্দীন, আসলাম হোসেন, কেসি কলেজের ছাত্র ইমরান হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও শাহিন রহমান বক্তব্য রাখেন। অভিভাবকদের অভিযোগ সরকারের ভর্তি নীতিমালা উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান ছাত্রপ্রতি আড়াই লাখ টাকা করে নিয়ে শহরের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের ভর্তি করেছেন। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারী জড়িত রয়েছেন। এভাবে তিনি ২৮ জন ছাত্রকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছেন যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার খুলনা বিভাগীয় পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ সরজমিন তদন্ত করে তৃতীয় শ্রেণিতে ৫ জনের অবৈধভাবে ভর্তির সত্যতা পেয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও এ পর্যন্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। মানববন্ধনে উপস্থিত অভিভাবকবৃন্দ অভিযোগ করেন আসনসংখ্যার থেকে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির কারণে ছাত্রদের পড়াশোনায় বিঘœ সৃষ্ট হচ্ছে।
যে কারণে প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানসহ জড়িত সব শিক্ষকের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।