কালীগঞ্জে জামাই-শাশুড়ির পরকীয়া প্রেমের কারণে লজ্জায় শ্বশুর আত্মহত্যা করেছে। গত রাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে আসাদুল ইসলাম (৪০) নামের এই শ্বশুর। সে উপজেলার মহেশ্বরচাদা গ্রামের সবের আলী মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটক করেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত গ্রামবাসী তাদের আটক করে রেখেছিল। প্রতিবেশীরা জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই মহেশ্বরচাদা গ্রামের আসাদুল ইসলামের নিজের মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এমন বিষয় নিয়ে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আসাদুল মাঠ থেকে বাড়ি এসে দেখে জামাই-শাশুড়ি বসে লুডু খেলছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে আসাদুল ও তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর আসাদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাতে সে মারা যায়। মহেশ্বরচাদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গণি জানান, গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, জামাই বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ি সুফিয়ার সঙ্গে প্রেম সম্পর্কের কারণে বুধবার বিকালে কীটনাশক পান করে আসাদুল। এরপর সে হাসপাতালে মারা যায়। তিনি বলেন এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে রেখেছে। তবে জামাই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন আমার বিয়ে হয়েছে ৪ মাস। আমি মোটর গাড়িতে কাজ করি। আমার শাশুড়ির সঙ্গে প্রেম করার সময় নেই। আমার নতুন বউ। সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে বলে যোগ করেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুছ আলী বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।