নবীগঞ্জে কুশিয়ারা এলাকায় বন্যাকবলিত চার শতাধিক লোকের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন সরকারের দুই মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গতকাল বন্যাকবলিত এলাকায় আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, এমপি। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে দুপুরে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় এক জনসভায় মিলিত হন দুই মন্ত্রী। সভাপতিত্ব করেন শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি। উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা, হবিগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মো. জাকারিয়া। এ সময় নদী ভাঙনকবলিত ৭.৪ কিলোমিটার এলাকার উন্নয়নে সাড়ে পাঁচশত কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট ঘোষণা করে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, এমপি বলেন, নদী ভাঙনকবলিত এলাকার উন্নয়নে বিশেষ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজীর ডিওর ভিত্তিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলখ্যাত ওই এলাকার উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, এমপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দুর্যোগ, দুর্দিনে সরকার আপনাদের পাশে আছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন দেশ হিসেবে বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মডেল। কেউ না খেয়ে মরবে না। পর্যাপ্ত ত্রাণ, চিকিৎসা ও জনপদের উন্নয়নে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হবে। কুশিয়ারার ভাঙনকবলিত এলাকার স্থায়ী সমাধানের নিমিত্তে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। সরকারের সহায়তা প্রচার করতে হবে, ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। সরকার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন, সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ গাজী মিলাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
এ সময় হবিগঞ্জ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনকবলিত ৯০০ মিটার এলাকায় বিশেষ বরাদ্দের অংশ হিসেবে ৪০০ মিটার এরিয়াকে প্রাথমিক ভাবে প্রজেক্টভুক্ত করা হয়। চলমান প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ফলে চলমান বন্যায় নদী রক্ষা বাঁধ বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা পায়। প্রজেক্ট এলাকার দূরবর্তী একটি স্থানে ভাঙন হলেও বাঁধ সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়। ৮১ হাজার ঘানিব্যাগ ও ৪৩ হাজার জিও ব্যাগ সংবলিত প্রজেক্ট বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছে ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ। সম্প্রতি নদী ভাঙনরোধে গৃহীত প্রকল্প ও মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, এমপি। এ সময় বাস্তবায়িত প্রায় ৪০০ মিটার প্রজেক্ট এরিয়া পরিদর্শন করেন তিনি। আজ মেগা প্রজেক্ট ও দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এমপি।