হরমুজ প্রণালী থেকে নিখোঁজ পানামার পতাকাবাহী ট্যাংকারটি আটক করার দাবি করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সদস্যরা পারস্য উপসাগর থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে। এটি তেল চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে বাহিনীটির পক্ষ থেকে। এ খবর দিয়েছে দ্যা গার্ডিয়ান।
বৃহসপতিবার ইরান জানায়, রিয়াহ নামের ওই ট্যাংকার দিয়ে ইরানি তেল পাচারকারীরা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করছিল। তাদেরকে হরমুজ প্রণালীর লারাক দ্বীপের কাছে আটক করা হয়। এই রুটটি তেল রপ্তানির জন্য বেশ বিখ্যাত। আটকের সময় জাহাজটিতে ১২ জন ক্রু অবস্থান করছিল। তবে আটক জাহাজ ও ক্রুরা কোন দেশের তার বিস্তারিত জানানো হয়নি দেশটির পক্ষ থেকে। গত রোববার এটিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো।
খবরে বলা হয়, প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল পাচারকালে লারাক দ্বীপের কাছে একটি বিদেশি ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। এটিকে নিজ জলসীমাতেই আটক করেছে ইরান। আটকের বিষয়ে আদালতের আদেশ নিয়ে নেয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিল, পানামার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি ইরানেই আটক রয়েছে। ইরানি জলসীমায় প্রবেশের পরই এটির লোকেশন বন্ধ হয়ে যায়। জাহাজ ট্রাকিং তথ্যানুযায়ী, পানামার পতাকাবাহী রিয়াহ নামের ওই ট্যাংকারটি শনিবার রাডার থেকে হারিয়ে যায়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পারস্য উপসাগর হয়ে যাচ্ছিল। এর আগে এই একই এলাকায় আরো ৪টি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। সামপ্রতিক সময়ে ঘটা এসব হামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের দামামা লেগে রয়েছে। এরইমধ্যে নতুন করে জাহাজ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
শনিবার আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর থেকে তেলবাহী ট্যাংকারটি যাত্রা শুরু করে। ৫৮ মিটার লম্বা ওই ট্যাংকারটি হরমুজ প্রণালী পার হওয়ার সময় এটি ইরানের নৌ সদস্যদের হাতে আটক হয়। ট্রাকিং ডাটা থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রেফিনিটিভ ডাটা ফার্ম জানিয়েছে, গত ৩ মাসে এই জাহাজটি তাদের লোকেশন ট্রাকিং বন্ধ করেনি। সর্বশেষ ডাটা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় এটি হঠাৎ করে ইউ-টার্ন নিয়ে ইরানের দিকে যেতে শুরু করে।