× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আড়াই কোটি মানুষ তিনবেলা খেতে পারছে না: রিজভী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

প্রায় আড়াই কোটি মানুষ তিনবেলা পেটভরে খেতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার তথাকথিত উন্নয়নের ফাঁপড়বাজির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে জোর করে ক্ষমতার মসনদ দখল করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছে। রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র বা অলিগোর্কি। তিনি বলেন, সরকারের রথী-মহারথীরা গণতন্ত্রের চাইতে উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়ার নামে সব সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করে জনগণকে শৃঙ্খলিত করেছে। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের নামে চলছে বল্গাহীন লুণ্ঠন। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ তিনবেলা পেটভরে খেতে না পরলেও এই মিডনাইট সরকার উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গরীবের পেটে লাথি মারতেই গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে।
একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মিডনাইট নির্বাচনকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা হলো, এই উন্নয়ন হলো ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আর তাদের সহযোগিতাকারীদের পকেটের উন্নয়ন। আর নিরন্ন মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর উন্নয়ন। রিজভী আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফ এ ও), শিশু তহবিল ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিও এইচ ও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আই এফ এ ডি) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্যোগে ‘বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বাস্তবতা ২০১৯’ শিরোনামে যৌথভাবে প্রণীত নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে ২ কোটি ৪২ লাখ মানুষ ভালোভাবে খেতে পায় না। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বাংলাদেশে প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। গত এক দশকে এদেশে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা অন্তত ১০ লাখ বেড়েছে। তিনি বলেন, রাতের আঁধারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বলে আসছেন, দেশে কোনো হাহাকার নেই, অভুক্ত মানুষ নেই। জনগণের টুঁটি চেপে ধরা এই সরকারের চাপাবাজ মন্ত্রীরা বলছেন, বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নে সিঙ্গাপুর, কানাডা এবং ইউরোপের মতো উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। এই সরকারের অর্থমন্ত্রী গত বছর বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কানাডার সমান হয়ে যাবে। এক বছরের মধ্যে স্পেন, থাইল্যান্ডের সমান হয়ে যাবে। দেশে কোন গরিব নেই। এমনকি এক বছর আগে ২০১৮ সালের ২৫শে জুন জাতীয় সংসদে বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সেই সময়ের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন দেশের দারিদ্র্যের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৪ কোটি লোক দরিদ্র, ২ কোটি লোক অভুক্ত থাকে। পুষ্টি ঠিকভাবে পায় না। তার চেয়ে বড় কথা দেশে আয় বৈষম্য বেড়েছে বিপুলভাবে।
রিজভী আহমেদ বলেন, দেশবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে উন্নয়নের নামে বর্তমান সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। দেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। দেশে খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ মহামারি আকারে বেড়েই চলছে। ২২ জেলায় বন্যায় অসহায় অভুক্ত মানুষকে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর