ঈদের আগে সিন্ডিকেট করে অনৈতিক ও বেআইনিভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ঈদুল আযহা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)। এ ব্যাপারে সরকারের ৫ প্রতিষ্ঠানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠিানটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ। সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণা করা না হলে, কেন তা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ঈদের একমাস আগেই সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গতকাল এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি এই সংস্থাটি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানের কাছে তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়ে সিসিএসের পক্ষ থেকে ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল মোমিন। নোটিশে বলা হয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে সমপ্রতি অনৈতিক ও অবৈধ সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষত: পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে ভোক্তা সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে।
সমপ্রতি বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সরকারি কর্তপক্ষকে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদ পর্যন্ত নিত্যপণ্য যেমন, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, তেল ইত্যাদির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিবছর ঈদের আগে অসৎ ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে অন্তত: একমাস আগে থেকে এমন ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা না হলে, কেন করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
অন্যথায়, আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও সিসিএসের পক্ষ থেকে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।