× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে- সালমান এফ রহমান

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বর্তমান বিশ্ব নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে হাজির হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের সেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটরিয়ামে ঢাকা জেলা পরিষদ আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি ও ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। যেসব শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে সালমান এফ রহমান বলেন, এখন বিশ্ব এমন একটি ম্যাটারিয়াল তৈরি করছে, যা আমাদের চুলের মত চিকন হবে। কিন্তু স্টিলের চাইতে ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হবে।
যারা চিকিৎসক হবেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন এমন আবিষ্কার নিয়ে আসছে, যা রীতিমতো বিষ্ময়কর। যখন আমাদের কিডনি বিকলাঙ্গ হয়ে যায় তখন আমাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম কিডনি স্থাপন করছে। মানুষের কিডনি আর লাগছে না। তাই শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকা জেলা পরিষদ শিক্ষার উন্নয়নে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ২০১৭-১৮ বছরের প্রথম বাজেট প্রণয়ন করে। ওই বাজেটে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষা খাতে ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৮-১৯ সালে শিক্ষা খাতে ১৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে ১৫ কোটি টাকা গ্রহণ করা হয়। বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গত দুই বছরে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় করার জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম জেলা পরিষদ ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৬১ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করে। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও ঢাকা জেলা পরিষদ থেকে ঢাকা জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরীতে ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করা ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় ৮৬ জন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৫৭ জন, সাভার উপজেলায় ৫০ জন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা ৬৩ জন, ধামরাই উপজেলা ১৫০ জন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জেলা শিক্ষা অফিসের ৭ জনসহ মোট ৪৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঢাকা জেলা পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর